পার্থ-কেষ্টকে আক্রমণ শুভেন্দুর বর্ধমান, 8 জানুয়ারি: "চাকরির দোকান খুলেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী মোটা পার্থ ৷ সত্তরের বেশি বয়স অথচ তাঁর বান্ধবী হাঁটুর বয়সি। এই তো রাজ্যে শিক্ষার অবস্থা। আর ওদিকে কেষ্টও চলেছে তিহার জেলে। তাই কেউ আর ছাড় পাবেনা।" ঠিক এই ভাষাতেই বর্ধমানের জনসভা থেকে দুর্নীতিগ্রস্ত দুই তৃণমূল নেতাকে আক্রমণ শানালেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari attacks Partha Chatterjee and Anubrata Mondal) ৷ বিরোধী দলনেতা একহাত নিলেন রাজ্যের শাসকদলকেও ৷
রাজ্য সরকারের 'লাগামছাড়া দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিজেপির আপসহীন লড়াইয়ে' সামিল হতে বর্ধমান জেলা বিজেপির ডাকে এদিন বর্ধমান 2নং ব্লকের স্বস্তিপল্লি ময়দানে প্রতিবাদ সভায় যোগ দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সেখানে তিনি বলেন, "রাজ্যে দুর্নীতির তদন্তে দেখা গিয়েছে দোকান থেকে অনেকে চাকরি কিনেছেন। ওই দোকান ছিল পার্থর। বিরাট পেট বিরাট দাড়ি, এলাকায় নীতির কথা বলতেন। তাঁর লজ্জা নেই। সত্তরের বেশি বয়স। হাঁটুর নীচে বয়সি বাচ্চা মেয়ে বান্ধবী। কখনও অর্পিতা, কখনও মোনালিসা। এই নিয়ে তৃণমূল। তাদের কি পঞ্চায়েতে ভোট দেওয়া উচিত? এত তাড়াতাড়ি ভুলে গেলে চলবে না। দরজা খুললেই টাকা। তৃণমূল নেতাদের মধ্যে কম্পিটিশন চলছে। আমরা কাউকে ছাড়ব না।"
রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে আক্রমণের পর দোর্দন্ডপ্রতাপ অনুব্রত মণ্ডলকেও একহাত নেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক ৷ তাঁর কথায়, "কেষ্ট মণ্ডল অনেক বড় নেতা ছিলেন। পূর্ব বর্ধমান জেলার আউসগ্রাম, মঙ্গলকোট এবং কেতুগ্রামে গুড় বাতাসা দেওয়ার কথা বলতেন। এই কেষ্ট মণ্ডলের নির্দেশে 2018 সালে বীরভূম জেলায় বিরোধীরা মনোনয়ন জমা দিতে পারেনি। সেইসঙ্গে মঙ্গলকোট-কেতুগ্রামে বিরোধীরা প্রার্থী দিতে পারেনি। আজও ওইসব এলাকায় অনেক মানুষ মিথ্যে মামলায় জেলে আছেন। আজ সেই বীর কেষ্ট কোথায়? সেই বাঘকে তো দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। বাঘ যাবে তিহার জেলে ৷ পুজোর দিনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাকে কচি পাঁঠার ঝোল, লুচি, মিষ্টি খাইয়েছেন ৷ কিন্তু তিহার জেলে কেষ্ট কিছুই পাবে না।"
আরও পড়ুন:'সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ ধ্বংস করছে তৃণমূল', কেন্দ্রকে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি শুভেন্দুর
রাজ্যজুড়ে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার দুর্নীতির কথাও এদিন জনসভায় তুলে ধরেন শুভেন্দু ৷ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা বলেন, "প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় আমাদের প্রধানমন্ত্রী দেশে 10 কোটিরও বেশি মানুষকে ঘরের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। এই রাজ্যে এই যোজনার অন্তর্গত আবাস প্লাস আসার আগে 40 লক্ষ বাড়ি দেওয়া হয়েছিল ৷ কিন্তু সেই বাড়ি কি কেউ পেয়েছে? আসলে সেই বাড়ি পাওয়ার সুযোগ কারও কাছে নেই। আমি সোশাল মিডিয়ায় দেখেছি এই আবাস যোজনার বাড়ি নিয়ে সেখানে পার্টি অফিস গড়ে তোলা হয়েছে। এই চোর তৃণমূল কংগ্রেস দল প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা বাড়ি নিয়ে ব্যাপক দুর্নীতি করেছে ৷" পঞ্চায়েত ভোটে মানুষ এ সবকিছুরই জবাব দেবে, দাবি শুভেন্দুর ৷