পূর্ব বর্ধমান, 5 নভেম্বর : পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মামার বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের মেমারি 2 ব্লকের মণ্ডলগ্রামে । তাঁর প্রয়াণের খবর ছড়িয়ে পড়তেই মামারবাড়ির গ্রামে শোকের ছায়া নেমে আসে । ছেলেবেলার অনেক বন্ধু ও গ্রামবাসীরা সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের আরোগ্য কামনায় গ্রামের মন্দিরে পুজো দিয়েছিলেন । তাদের এখন একটাই আক্ষেপ ৷ "সুব্রতকে ফেরাতে পারলাম না ।"
সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মামাতো ভাই সিদ্ধার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "উনি যতদিন ভর্তি ছিলেন ততদিন মায়ের কাছে পুজো দিচ্ছিলাম । কিন্তু ওনাকে আর ফেরাতে পারলাম না । গ্রামের যেটুকু উন্নয়ন হয়েছে সেটা ওনার জন্যই । লক্ষ্মীপুজোর দিনেও দাদার সঙ্গে কথা হয়েছে । সেদিন উনি বলেছিলেন গ্রামে গিয়ে মায়ের পুজো দেব গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলব । কিন্তু সে আশা আর পূরণ হল না ৷ আক্ষেপ রয়ে গেল ।"
মন্ত্রীর ছোটবেলার বন্ধু সুকুমার চট্টোপাধ্যায় চোখের জল মুছতে মুছতে বললেন, "কালনার নাদনঘাটের ন-পাড়া গ্রামে তার পৈতৃক ভিটে হলেও মামারবাড়িতেই বেশিরভাগ থাকত সুব্রত । এখানেই ওর পড়াশোনা শুরু । গাছে ওঠা থেকে শুরু করে খেলাধূলা, পুকুরে সাঁতার কাটা, এখান ওখান ছুটে বেড়ানো সবই করতাম একসঙ্গে । মন্ত্রী হয়েও মামারবাড়ির গ্রামকে কোনওদিন ভোলেনি ৷ সুব্রত ক্ষীরের নাড়ু খেতে খুব ভালবাসত । গ্রামে পানীয় জলের ব্যবস্থা থেকে রাস্তাঘাট, সবই ও করে গিয়েছে । ওর প্রয়াণে আমরা খুব শোকাহত ।
Subrata Mukherjee : সুব্রত আর কখনও মামারবাড়ি আসবেন না, আক্ষেপ মণ্ডলগ্রামের
লক্ষ্মীপুজোর সময় মামাতো ভাইকে ফোনে জানিয়েছিলেন পুজো মিটে গেলে মামারবাড়ি গিয়ে মন্দিরে পুজো দেবেন ও গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলবেন ৷ কিন্তু পঞ্চায়েতমন্ত্রীর সেই ইচ্ছে অপূর্ণই থেকে গেল ৷ মন্ত্রীর না ফেরার দেশে পাড়ি দেওয়ায় আক্ষেপে মামারবাড়ির গ্রাম ৷ আর যে কখনও আসবেন না মণ্ডলগ্রামে ৷ বন্ধু থেকে গ্রামবাসী সকলেই মর্মাহত ৷
Subrata Mukherjee