মাধবডিহি (পূর্ব বর্ধমান), 24 নভেম্বর: ছেলের ধারালো অস্ত্রের কোপে মৃত্যু হল বাবার । বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের মাধবডিহি থানার দেনো গ্রামে । মৃতের নাম বাসুদেব পাত্র (64)। শুক্রবার বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের মর্গে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা হয় ৷ পুলিশ অভিযুক্ত ছেলে বিশ্বজিৎ পাত্রকে গ্রেফতার করেছে ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাসুদেব পাত্র লোকের বাড়িতে গরুর দুধ দোয়ানোর কাজ করতেন । এছাড়াও তাদের নিজেদের দু-একটা গরু আছে সেগুলিরও পরিচর্যা করতেন । তাঁর ছেলে বিশ্বজিৎ পাত্র এই কাজে তাঁকে সাহায্য করত । তাদের বাড়ি থেকে গোয়ালঘর ছিল বেশ কিছুটা দূরে ৷ বৃহস্পতিবার রাতের দিকে বাসুদেব ও তাঁর ছেলে বিশ্বজিৎ গোয়ালঘরে যায় গরুর দুধ দোয়ানোর জন্য ৷ সেখানে বাবা ছেলের মধ্যে কোনও বিষয় নিয়ে কথা-কাটাকাটি শুরু হয় । হঠাৎ বিশ্বজিৎ তার বাবার গলায় ধারালো অস্ত্রের কোপ মারে । ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বাসুদেবের । এদিকে তার ছেলে বিশ্বজিৎ নিজের শ্বশুরবাড়িতে ফোন করে খুনের কথা জানায় । প্রতিবেশীরা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ অভিযুক্ত বিশ্বজিৎকে গ্রেফতার করে ।
প্রতিবেশী মহাদেব পাত্র বলেন, "বাবা-ছেলে গোয়াল ঘরে গিয়েছিল । বাড়ি থেকে বেশ কিছুটা দূরে একটা ফাঁকা জায়গাতে গোয়ালঘর । কখন কী ঘটনা ঘটেছে কেউ জানি না । ওই যুবক বাবাকে খুন করার পরে তার শ্বশুরবাড়িতে ফোন করে ঘটনার কথা জানায় । ব্যাপারটা জানাজানি হওয়ার পরে গ্রামবাসীরা পুলিশকে খবর দেয় । পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে । স্থানীয় ও প্রতিবেশীদের দাবি বেশ কিছুদিন ধরেই বিশ্বজিতের মাথার সমস্যা দেখা দিয়েছে । তবে কী কারণে এই খুনের ঘটনা ঘটেছে কেউ বুঝতে পারছে না । পুলিশে ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় বিশ্বজিৎ পাত্র বলেন, "আমি মারতে চাইনি । বাবার সঙ্গে গণ্ডগোলের সময় রাগের মাথায় বসিয়ে ফেলেছি ।"
মৃতের ভাই গোলকধর পাত্র বলেন, "বেশ কয়েকদিন ধরেই বিশ্বজিতের মাথায় একটা গণ্ডগোল দেখা যাচ্ছে । যাকে তাকে উলটোপালটা কথা বলছে । ঘটনার সময় আমি তখন গ্রামে নিজের দোকানে ছিলাম । তার একটু আগেই আমি তাদের গোয়ালঘরে যেতে দেখেছি । ফলে কথাটা শুনে আমার বিশ্বাস হয়নি । আমার স্ত্রী আমার কথা শুনে গোয়ালঘরে গিয়ে দেখে দাদা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে । তার গলায় ধারালো অস্ত্রের কোপ মারা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে । কেন এই ঘটনা ঘটেছে বলে বুঝতে পারছি না । পুলিশ বিশ্বজিৎকে গ্রেফতার করেছে ।" পুলিশ সূত্রে খবর, ময়নাতদন্ত করা হয়েছে । ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে ।
আরও পড়ুন :