বর্ধমান, 6 জানুয়ারি : কোভিডের প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা তাঁরা কোনওমতে সামলে উঠেছিলেন ৷ দেশে ফের দাবানলের মতো ছড়াচ্ছে করোনা সংক্রমণ ৷ বাদ নেই এ রাজ্যও ৷ ফের রাজ্যে লাগু হয়েছে করোনা বিধিনিষেধ ৷ আর তাতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন ছোটখাটো খাবারের দোকানের ব্যবসায়ীরা ৷ আবার যদি লকডাউন ঘোষণা হয়, তাহলে কী হবে ? এই প্রশ্নই এখন ঘুরছে তাঁদের মাথায় ৷
বর্ধমান শহরজুড়ে ইতিউতি ছড়িয়ে আছে চায়ের স্টল, রাস্তার ধারে ছোট ছোট খাবারের দোকান, মিষ্টির দোকান । সকাল হতে না হতেই দোকানগুলিতে ভিড় উপচে পড়ে । বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে খদ্দের সামলাতে দোকানদার হিমশিম খেতে হয় ৷ লকডাউন, কোভিডের দু‘টো ঢেউ পার করার পর এই চেনা ছবি ফিরে এসেছিল ৷ দীর্ঘ অনিশ্চয়তার পর এইসব ছোটখাটো ব্যবসায়ীরা লাভের মুখ দেখছিলেন ৷ যদিও সেই সুখ বেশিদিন স্থায়ী হল কই ৷ নেপথ্যে করোনার তৃতীয় ঢেউ ৷ ইতিমধ্যেই কোভিডের মোকাবিলায় রাজ্যে লাগু হয়েছে সরকারি বিধিনিষেধ ৷ আর তাতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন বর্ধমান দিলীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, মনোজ কুমার, মদন দে-র মতো খাবারের দোকানের ব্যবসায়ীরা ৷ ফের লকডাউনের আতঙ্ক ঘিরে ধরেছে তাঁদের ৷
বেশ ভালই ব্যবসা চলছিল দিলীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের । তিনি পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতারের বাসিন্দা । বর্ধমান শহরে তাঁর একটা চা, ঘুঘনির স্টল আছে । সারাদিন টুকটাক করে ব্যবসা চলে । বাড়িতে আছে ছেলে ও স্ত্রী । মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে । ছেলে বিএ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র । আগে ভাতার থেকে বর্ধমানে যাতায়াত করতেন । এখন বর্ধমান শহরেই একটা বাড়ি ভাড়া নিয়ে সংসার ৷ লকডাউনের জেরে ব্যপক ক্ষতির মুখে পড়েছিলেন । পরে সব স্বাভাবিক হলে ফের দোকান চালু করেন । ভয় কাটিয়ে মানুষজন দোকানে ভিড় করতে শুরু করেন ৷ এখন ব্যবসা ভালই চলছে । কিন্তু এরপর যদি ফের লকডাউন হয় তাহলে কী হবে সেটা ভেবেই চিন্তিত দিলীপ বাবু ৷