বর্ধমান, 15 ডিসেম্বর: হাওড়া-বর্ধমান লোকাল ট্রেনে নিজের সার্ভিস রিভলবার দিয়ে গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী হলেন এক পুলিশ কনস্টেবল । তাঁর নাম শুভঙ্কর সাধুখাঁ (44) । তাঁর বাড়ি বর্ধমানের বড়নীলপুর এলাকায় । শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়া-বর্ধমান মেল লাইনের পালসিট স্টেশনের কাছে । রেল পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পারিবারিক কারণে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন তিনি । এ দিন তিনি চলন্ত ট্রেনেই গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করেন ।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালের দিকে হাওড়া-বর্ধমান মেনলাইন শাখায় একটা ট্রেনে গুলির আওয়াজ শুনে যাত্রীরা চমকে ওঠেন । পরক্ষণেই তাঁরা দেখেন একজন রক্তাক্ত অবস্থায় ট্রেনের কামরায় একটা সিটে পড়ে আছেন । তাঁর কপাল মুখ দিয়ে রক্ত গড়িয়ে পড়ছে । যাত্রীরা জানিয়েছেন, অন্যান্য যাত্রীদের সঙ্গে তিনি দু-একটা কথাও বলছিলেন । হঠাৎ কখন তিনি তাঁর রিভালবার বের করে গুলি চালান, সেটা কেউ খেয়াল করেননি ।
রেল পুলিশ জানিয়েছে, আপ হাওড়া-বর্ধমান লোকালে ট্রেনের শেষ দিকে যে মহিলা কামরা থাকে, সেখানে নিহত শুভঙ্কর সাধুখাঁ ডিউটি করছিলেন । তবে বেশ কয়েকদিন ধরেই তিনি পারিবারিক কারণে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন । কিন্তু পারিবারিক কী ধরনের সমস্যায় তিনি ভুগছিলেন ? কার সঙ্গে তাঁর সমস্যা চলছিল, সেই বিষয়ে এখনও বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি ৷
রেলের তরফে তাঁর পরিবারে খবর দেওয়া হয়েছে ৷ তবে তাঁর পরিবারে কে কে আছেন, সেই বিষয়েও বিস্তারিত কোনও তথ্য হাতে আসেনি ৷ কিন্তু এই ঘটনা নতুন করে ট্রেনে যাত্রী নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে ৷ কারণ, চলন্ত ট্রেনে এই ঘটনা ঘটেছে ৷ সেক্ষেত্রে গুলি অন্য কারও গায়ে লাগতে পারত ৷ তাছাড়া মানসিক অবসাদের জেরে পুলিশ বা সেনাকর্মীদের সার্ভিস রিভলবার বা অন্য় আগ্নেয়াস্ত্র থেকে এলোপাথাড়ি গুলি চালানোর ঘটনা আগেও ঘটেছে ৷ এক্ষেত্রে তেমন ঘটলে, বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেত ৷
আরও পড়ুন:
- বর্ধমান স্টেশনে প্ল্যাটফর্মে জলের ট্যাংক ভেঙে মৃত 3, আহত 34
- বর্ধমান স্টেশনে গেলে আদৌ বাড়ি ফিরব তো, প্রশ্ন নিত্যযাত্রীদের
- বর্ধমান মেডিক্যালে আহতদের দেখতে গিয়ে শিশুর পড়াশোনার খরচ নিজের হাতে তুলে নিলেন রাজ্যপাল