বর্ধমান, 20 এপ্রিল: রাজু ঝা-য়ের ছোটবেলার বন্ধু ছিলেন নারায়ণ খাড়কা । তিনিও কয়লা ব্যবসায়ী নামে রানিগঞ্জ দুর্গাপুরে পরিচিত । পরবর্তীকালে তাঁদের মধ্যে গড়ে ওঠে ব্যবসায়িক সম্পর্ক । এরপর অবশ্য নারায়ণের সঙ্গে রাজুর সম্পর্কের অবনতি ঘটে । তাঁরা ব্যবসায় একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ওঠেন । আর নারায়ণ খাড়কার গাড়ির ড্রাইভার ছিলেন অভিজিৎ মণ্ডল । ফলে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ খুনের মোটিভ বোঝার চেষ্টা করছে ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন অর্থাৎ 1 এপ্রিল রাজু ঝা-কে খুনের ঘটনার পরে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশের নজরে আসে তিনটে গাড়ি । একটা নীল ও অপর দুটি সাদা গাড়ি । এর মধ্যে একটা গাড়িকে ঝাড়খণ্ডের লোকেশনেও পাওয়া যায় । সেই সঙ্গে মেলে অভিজিতের ফোনের টাওয়ার লোকেশনও । মোবাইলের সূত্র ধরে পুলিশ জানতে পেরেছে রাজু ঝা খুনে সুপারি কিলারদের সঙ্গে অভিজিৎ মোবাইলে কথা বলেছিলেন । এর আগে অভিজিৎ জেলও খেটেছেন । ফলে জেলে থাকাকালীন তার সঙ্গে সুপারি কিলারদের যোগাযোগের মাধ্যম কেউ ছিল কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।
যদিও অভিজিতের দুর্গাপুরের আইনজীবী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের দাবি, একটা কনস্ট্রাকশন কোম্পানিতে কাজ করত অভিজিৎ । ওই কোম্পানিতে চা দেওয়ার কাজ করতো রবি বেসরা । তাকেও পুলিশ তুলে নিয়ে গিয়েছে । এছাড়া তাহরুল নামে আরও একজনকে আটক করা হয়েছে । অন্যদিকে অভিজিৎকে দুর্গাপুর থেকে ধরা হলেও দুর্গাপুরের সিটি সেন্টার ফাঁড়ি জানিয়েছে তাদের কাছে অভিজিৎ মণ্ডলের গ্রেফতারি নিয়ে কোনও ইনফরমেশন নেই । পুলিশ ফরওয়ার্ডিং রিপোর্টে কোথাও লেখা নেই তাকে কী কারণে গ্রেফতার করা হয়েছে ।