খণ্ডঘোষে গৃহবধূকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ - বর্ধমান
গতকাল রাতে এক গৃহবধুকে মারধর করে শৌচাগারে আটকে রেখে আগুনে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠল ৷ মৃতার বাপের বাড়ির লোকজনের অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর শ্বশুর ,শাশুড়ি ও স্বামীকে আটক করেছে খণ্ডঘোষ থানার পুলিশ ৷ খণ্ডঘোষের উখরিদ গ্রামের ঘটনা ৷
খণ্ডঘোষ, 8 এপ্রিল : এক গৃহবধূকে মারধর করে গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে । মৃতার নাম আঁখি সই (23) । ঘটনায় , পুলিশ গৃহবধূর স্বামী , শ্বশুর এবং শাশুড়িকে আটক করেছে । খণ্ডঘোষের উখরিদ গ্রামের ঘটনা ৷
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে , ছয় বছর আগে খণ্ডঘোষের উখরিদ গ্রামে কুন্তল সইয়ের সঙ্গে আঁখির বিয়ে হয় । তাঁদের একটি তিন বছরের কন্যা সন্তান আছে । বিয়ের পর থেকে আঁখির উপরে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করা হত বলে অভিযোগ । কাল রাতেও তাঁকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ ৷ এরপর আজ সকালে বাপের বাড়ি লোক জানতে পারে মেয়ে আত্মহত্যা করেছে । খবর পেয়ে বাপের বাড়ির লোকজন গিয়ে বাথরুমের ভিতর আঁখির জ্বলন্ত দেহ দেখতে পায় । জানা গেছে , বাইরে থেকে শৌচাগারের দরজা বন্ধ করা ছিল । পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয় । মৃতের পরিবারের অভিযোগ , আঁখিকে খুন করেছে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন ।
আঁখির আত্মীয় মধুসূদন রায় বলেন , " স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি মিলে বোনের উপর অত্যাচার করত । তাঁকে রাতের বেলা পিটিয়ে খুন করে সকালে শৌচাগারে ভরে আগুন ধরিয়ে দিয়ে তাঁরা বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় । স্থানীয়রা সেই আগুন দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয় । পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ।"
আঁখির দাদা বিপদতারণ রায় বলেন , "সকালের দিকে ফোন আসে আঁখি আত্মহত্যা করেছে । আমার জামাইবাবু গিয়ে দেখে শৌচাগারে একটা কেরোসিন তেলের বোতল রাখা আছে । গত দু'বছর ধরে সংসারে অশান্তি চলছিল । গতকাল রাতে, তাঁকে মারধর করা হয় । শৌচাগারে ভিতরে আটকে তাঁর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় । বাইরে থেকে ছিটকিনি বন্ধ ছিল । পুলিশ গিয়ে দরজা খুলে তাঁকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিকেলে ভরতি করলে সেখানে আঁখি মারা যায় ।" পুলিশ জানিয়েছে , এই ঘটনায় মৃতার স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়িকে আটক করা হয়েছে । তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ৷