বর্ধমান, 3 অগস্ট: ডেঙ্গি মোকাবিলায় কর্মীদের সতর্ক করলেন বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভার বিধায়ক খোকন দাস। পাশাপাশি তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, "যারা কাজ না-করে ভাবছে ঘরে বসেই মাইনে পাবে তাদের কিন্ত সরাসরি বাদ দিয়ে দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে কোনও কাউন্সিলরের সুপারিশেও কাজ হবে না। বুধবার বর্ধমান টাউন হলে ডেঙ্গি সংক্রান্ত বিশেষ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। যার নাম দেওয়া হয়েছে 'ডেঙ্গি বিজয়'।
কর্মসূচিতে আশা কর্মীদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রতি মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ডেঙ্গি বিষয়ে সচেতন করা। কিন্তু পৌরসভার পক্ষ থেকে খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে, পৌরসভার কোনও ওয়ার্ডেই এই কাজ হচ্ছে না। অথচ কর্মীরা তাঁদের মাইনে পেয়ে যাচ্ছেন। বিধায়ক খোকন দাস তাঁদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, "যারা কাজ করবে না তাদের বাদ দিয়ে দেওয়া হবে। কোনও কাউন্সিলর সুপারিশ করলেও কাউকে ছেড়ে কথা বলবে না পৌরসভা।" পাশাপাশি বর্ধমান পৌরসভার চেয়ারম্যান পরেশ সরকারও কর্মীদের কাজের গাফিলতির অভিযোগ তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এদিন।
আরও পড়ুন:ডেঙ্গি নিয়ে উদ্বিগ্ন মমতা, উত্তর 24 পরগনার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখলেন স্বাস্থ্য সচিব
বর্ধমান পৌরসভার চেয়ারম্যান পরেশ সরকার বলেন, "ডেঙ্গি মোকাবিলা করতে সবাইকে কাজে লাগানো হয়েছিল। আমাদের আধিকারিকরা খোঁজ নিয়ে জেনেছেন, পৌরসভার পক্ষ থেকে যে মহিলা কর্মীদের বাড়ি বাড়ি খোঁজ নিতে বলা হয়েছিল, তাঁরা কেউ খোঁজ নিতে যায়নি। এমনকী ডেঙ্গি নিয়ে যে সতর্ক করতে বলা হয়েছিল সেই কাজ তাঁরা কেউ করতে যায়নি। এটা খুব লজ্জাজনক ব্যাপার। আমাদের 482 জন ডেঙ্গি নিয়ে কাজ করার জন্য কর্মী আছেন। পৌরসভার 35টি ওয়ার্ডেই তাঁরা ভাগ হয়ে গিয়ে কাজ করবেন।"
তিনি আরও বলেন, "কর্মীদের বলা হয়েছে প্রতি বাড়ি বাড়ি গিয়ে কোথাও জমা জল আছে কি না, কিংবা কোনও নোংরা আবর্জনা আছে কি না, তা খোঁজখবর নিয়ে পৌরসভার কাছে রিপোর্ট পেশ করতে।" বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক খোকন দাস বলেন, "আমি তো বর্ধমান শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরি, কিন্তু কোনওদিন কাউকে ডেঙ্গি নিয়ে সচেতন করতে দেখিনি। যারা সুপারভাইজার রয়েছেন তাঁরাও জানেন না, তাঁদের অধীনে কাজ করা মহিলা কর্মীরা ঠিকভাবে কাজ করেন কি না। সরকার টাকা দিচ্ছে অথচ সেই কাজ হচ্ছে না। ফলে যারা আসছেন না, ফাঁকি দিচ্ছেন তাঁদের কাজ করার প্রয়োজন নেই।"
আরও পড়ুন:ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার মাঝে আতঙ্ক এবার করোনা ! বর্ধমানে মৃত 2