পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

ECL Road Block: খনির বিস্ফোরণে দফায় দফায় বাড়িতে ফাটল, ক্ষতিপূরণের দাবিতে পথে ভুক্তভোগীরা - বিক্ষোভ

ইস্টার্ন কোলফিল্ডস লিমিটেড (Eastern Coalfields Limited) বা ইসিএলের (ECL) খনিতে বিস্ফোরণের জেরে বাড়িতে দফায় দফায় ফাটল ৷ পুনর্বাসন (Rehabilitation) ও ক্ষতিপূরণ (Compensation) চেয়ে রাস্তা আটকে বিক্ষোভ (Road Block) ভুক্তভোগীদের ৷ পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরের ঘটনা ৷

local people block the road demanding Rehabilitation and Compensation outside ECL in Durgapur
Road Block: খনির বিস্ফোরণে দফায় দফায় বাড়িতে ফাটল, ক্ষতিপূরণের দাবিতে পথে ভুক্তভোগীরা

By

Published : Dec 9, 2022, 1:17 PM IST

দুর্গাপুর, 9 ডিসেম্বর: ছ'মাস অপেক্ষা করেও মেলেনি পুনর্বাসন (Rehabilitation) বা ক্ষতিপূরণ (Compensation) ৷ উপরন্তু, ফাটল ধরা বাড়িতে আবারও নতুন করে ফাটল ধরতে শুরু করেছে ! এই অবস্থায় একপ্রকার বাধ্য হয়েই পথে নেমে প্রতিবাদ জানালেন ভুক্তভোগীরা ৷ শুক্রবার সকালের এই ঘটনা ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরে ৷ গ্রামবাসীর অবস্থান বিক্ষোভের (Road Block) জেরে দীর্ঘক্ষণ আটকে রইল কয়লাবোঝাই ডাম্পার ৷ সেইসঙ্গে, খবর করতে গিয়ে ইস্টার্ন কোলফিল্ডস লিমিটেড (Eastern Coalfields Limited) বা ইসিএলের (ECL) এক আধিকারিকের বাধার মুখে পড়তে হল সাংবাদিকদের ৷ এই ঘটনায় আরও ক্ষেপে যান বিক্ষোভকারীরা ৷ পরে অবশ্য পুলিশ ও ইসিএল আধিকারিকদের মধ্যস্থতায় বিক্ষোভ তুলে নেন তাঁরা ৷

ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের দাবিতে অবরোধ ৷

ঘটনার সূত্রপাত হয় মাস ছয়েক আগে ৷ জেলার লাউদোহার শীর্ষা গ্রামে সব মিলিয়ে মোট 28টি পরিবারের বাস ৷ প্রত্যেকটি পরিবারই হতদরিদ্র ৷ এই বসত এলাকার কাছেই রয়েছে ইসিএলের ঝাঁঝরা কয়লা খনি ৷ ছ'মাস আগে কয়লা উত্তোলনের জন্য খনিতে নিয়ম মাফিক বিস্ফোরণ করা হয় ৷ তাতেই শীর্ষা গ্রামে অধিকাংশ বাড়িতে ফাটল ধরে ৷ বেশ কয়েকটি বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়ে ৷ গ্রামবাসীর দাবি, সেই ঘটনার পর আক্রান্ত পরিবারগুলির থাকার জন্য অস্থায়ী শিবিরের ব্যবস্থা করা হয়েছিল ৷ একইসঙ্গে, ইসিএল কর্তৃপক্ষ তাদের পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল ৷

আরও পড়ুন:কয়লা উত্তোলনের জন্য খনিতে বিস্ফোরণ, 19টি বাড়িতে ফাটল

এরপর ছ'মাস কেটে গিয়েছে ৷ কিন্তু, আজও পুনর্বাসন বা ক্ষতিপূরণ মেলেনি বলে অভিযোগ করছেন ভুক্তভোগীরা ৷ এরই মধ্যে আবারও একই কারণে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলিতে নতুন করে ফাটল ধরে ৷ গ্রামবাসীর আশংকা, যেকোনও মুহূর্তে এই বাড়িগুলি ভেঙে পড়তে পারে ৷ ঘটে যেতে পারে প্রাণহানির মতো ভয়াবহ কোনও ঘটনা ৷ তাই অবিলম্বে পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণ চেয়ে পথে নামেন ভুক্তভোগীরা ৷ শুক্রবার ইসিএলের মূল রাস্তা আটকে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা ৷ ঘটনাস্থলে পৌঁছন ইসিএলের আধিকারিকরা ৷ পৌঁছয় লাউদোহা থানার পুলিশ ৷ ইসিএল আধিকারিকদের মধ্যে সংস্থার ঝাঁঝরা এরিয়ার পার্সোনাল ম্য়ানেজার রঙ্গন চন্দ্রও ছিলেন ৷ তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাংবাদিকদের কাজে বাধা দেন ৷ তাঁদের ক্যামেরা বন্ধ করার চেষ্টা করেন ৷

ইসিএল আধিকারিকের এমন আচরণে আরও ক্ষেপে যান বিক্ষোভকারী ৷ তাঁরা অবিলম্বে সমস্যা সমাধানের দাবি করতে থাকেন ৷ ইসিএলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন ৷ পরবর্তীতে পুলিশ ও ইসিএল আধিকারিকরা তাঁদের আশ্বস্ত করেন, যত দ্রুত সম্ভব ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণের বন্দোবস্ত করা হবে ৷ এরপরই বিক্ষোভ ওঠে এবং দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকা কয়লাবোঝাই ডাম্পারগুলি তাদের গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেয় ৷

ABOUT THE AUTHOR

...view details