দুর্গাপুর, 9 ডিসেম্বর: ছ'মাস অপেক্ষা করেও মেলেনি পুনর্বাসন (Rehabilitation) বা ক্ষতিপূরণ (Compensation) ৷ উপরন্তু, ফাটল ধরা বাড়িতে আবারও নতুন করে ফাটল ধরতে শুরু করেছে ! এই অবস্থায় একপ্রকার বাধ্য হয়েই পথে নেমে প্রতিবাদ জানালেন ভুক্তভোগীরা ৷ শুক্রবার সকালের এই ঘটনা ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরে ৷ গ্রামবাসীর অবস্থান বিক্ষোভের (Road Block) জেরে দীর্ঘক্ষণ আটকে রইল কয়লাবোঝাই ডাম্পার ৷ সেইসঙ্গে, খবর করতে গিয়ে ইস্টার্ন কোলফিল্ডস লিমিটেড (Eastern Coalfields Limited) বা ইসিএলের (ECL) এক আধিকারিকের বাধার মুখে পড়তে হল সাংবাদিকদের ৷ এই ঘটনায় আরও ক্ষেপে যান বিক্ষোভকারীরা ৷ পরে অবশ্য পুলিশ ও ইসিএল আধিকারিকদের মধ্যস্থতায় বিক্ষোভ তুলে নেন তাঁরা ৷
ঘটনার সূত্রপাত হয় মাস ছয়েক আগে ৷ জেলার লাউদোহার শীর্ষা গ্রামে সব মিলিয়ে মোট 28টি পরিবারের বাস ৷ প্রত্যেকটি পরিবারই হতদরিদ্র ৷ এই বসত এলাকার কাছেই রয়েছে ইসিএলের ঝাঁঝরা কয়লা খনি ৷ ছ'মাস আগে কয়লা উত্তোলনের জন্য খনিতে নিয়ম মাফিক বিস্ফোরণ করা হয় ৷ তাতেই শীর্ষা গ্রামে অধিকাংশ বাড়িতে ফাটল ধরে ৷ বেশ কয়েকটি বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়ে ৷ গ্রামবাসীর দাবি, সেই ঘটনার পর আক্রান্ত পরিবারগুলির থাকার জন্য অস্থায়ী শিবিরের ব্যবস্থা করা হয়েছিল ৷ একইসঙ্গে, ইসিএল কর্তৃপক্ষ তাদের পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল ৷