নববর্ষের রাতে নীরবতার সাক্ষী কার্জন গেট
পয়লা বৈশাখের সন্ধেবেলা প্রত্যেক বছরই কার্জনগেট সেজে উঠত ৷ দোকানগুলিতে ক্রেতাদের ভিড় থাকত ৷ কিন্তু এবার লকডাউনের কারণে কার্জন গেটে সন্ধে নামল নীরবতায় ৷
বর্ধমান , 14 এপ্রিল : পয়লা বৈশাখ মানেই হালখাতা ৷ দোকানে দোকানে ভিড় ৷ হাতে মিষ্টির প্যাকেট , ক্যালেন্ডার , উপহার নিয়ে হাসি হাসি মুখগুলি বাড়ির দিকে ফিরে যায় ৷ ঠিক এই ছবি বর্ধমান শহরের কার্জনগেটেও প্রত্যেক বছর দেখা যায় ৷ এই দিন নতুন ভাবে সেজে ওঠে কার্জন গেট । সন্ধে নামলেই দোকানে দোকানে ক্রেতাদের ভিড় ৷ বছরের পর বছর এই ঘটনার সাক্ষী থেকেছে কার্জনগেট । কিন্তু লকডাউনের কারণে এবারের কার্জন গেটের সন্ধে নামল নীরবতায় ৷
দিন কয়েক আগে বেলা 12টা থেকে বিকেল 4টে পর্যন্ত মিষ্টির দোকান খোলার অনুমতি দিয়েছে প্রশাসন । তাই আজ নববর্ষের দিনে শহরের মিষ্টির দোকানগুলিতে কিছুটা হলেও মানুষের আনাগোনা ছিল । কিন্তু বেলা বাড়তেই সব সুনসান । হঠাৎ করে দেখলে শহরটাকে কেমন যেন অচেনা মনে হয় বর্ধমানবাসীর । বড় বড় দোকানগুলিতে তালা ঝুলছে । ফুটপাথের দোকানগুলির বাঁশের কাঠামো ঝুলে আছে । পয়লা বৈশাখের দিন কার্জনগেট থেকে সোজা রানিগঞ্জ বাজারের মোড় কোনওদিন ফাঁকা দেখা গেছে কি না কেউ বলতে পারেন না ।
বর্ধমানের প্রবীণ বাসিন্দা শিশির কুমার দত্ত বলেন , " চারের দশকের শেষ দিকে ছোটো বেলায় কার্জনগেট দিয়ে যাতায়াতের পথে রাস্তাঘাট ফাঁকা দেখতাম । তখন সেইভাবে দোকানপাট গড়ে ওঠেনি । নববর্ষে কোনও জমজমাট অনুষ্ঠান ছিল না । কিন্তু লকডাউনের মতো ফাঁকা শহর আগে দেখিনি । "