বর্ধমান, 10 মে: বর্ধমান স্টেশন চত্বরে তোলাবাজির অভিযোগে সরব তৃণমূলেরই দুই গোষ্ঠী ৷ অভিযোগ, এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে তৃণমূল কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক কোন্দল হয় ৷ এরপরই এক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগে সরব হয়েছে দলেরই অন্য গোষ্ঠীর নেতারা ৷
বর্ধমান স্টেশন চত্বরে কোন্দলে জড়িয়ে পড়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী ৷ যার জেরে এলাকায় বেশ কিছু গাড়ি ও দোকান ভাঙচুর চালানো হয় বলেও অভিযোগ ৷ এই ঘটনার পরই তৃণমূল কংগ্রেসের এক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ তুলেছে অন্য পক্ষ। দলের এই কাণ্ডকারখানায় ক্ষুদ্ধ তৃণমূলের দলীয় নেতৃত্ব। বুধবার তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের প্রাক্তন সভাপতি ইফতিকার আহমেদ বলেন, "তৃণমূল কংগ্রেসের বদনাম করার জন্য মিথ্যে তোলাবাজির অভিযোগ তুলছে দলেরই একটা গোষ্ঠী।" তৃণমূলের অন্য আরেক গোষ্ঠীর অভিযোগ, বর্ধমান স্টেশন থেকে যখন কোনও যাত্রী স্টেশনের বাইরে বের হয়ে টোটো ধরতে যান, সেই সময় টোটো চালকদের 10 টাকা করে দিতে হয়। সেই টাকা কাকে এবং কেন দিতে হয় তা নিয়ে অবশ্য এলাকার কোনও টোটো চালকই মুখ খুলতে রাজি হয়নি।
তৃণমূলের এক গোষ্ঠীর অভিযোগ পার্কিং করার নামে তোলাবাজি করে দলেরই অন্য এক গোষ্ঠী। শুধু তাই নয় দু'চাকা বা চার চাকা গাড়ি পার্কিংযের স্ট্যান্ড চালানোর জন্যও ওই গোষ্ঠীকে টাকা দিতে হয়। ফলে অন্য গোষ্ঠী প্রতিবাদ করতে গেলে তাদের সঙ্গে ঝামেলা লেগেই থাকে। রবিবার রাতেও এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে এক গোষ্ঠী অন্য গোষ্ঠীর উপর চড়াও হয়েছিল বলে অভিযোগ। 20-25 জনের দুষ্কৃতীদের একটা দল তলোয়ার, লাঠি, রড নিয়ে স্টেশন চত্বরে থাকা চারচাকা এবং দু'চাকা গাড়ি-সহ দু-একটি দোকানেও ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। এরপর ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ গোলাপ সোনকারকে গ্রেফতার করে।