কালনা, 8 অগস্ট : পড়ানোর নাম করে 12 জন ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ইমামের বিরুদ্ধে ৷ অভিযুক্তের নাম গিয়াসুদ্দিন শেখ । ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কালনায় ৷ ইমামের বিরুদ্ধে কালনা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন এক অভিভাবিকা । কালনা থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে । ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত ইমাম পলাতক ।
অভিযোগ, গিয়াসুদ্দিন শেখের কাছে দশ-বারো জন ছোট মেয়ে পড়তে যেত । সেখানে ছেলেরাও পড়ত । ইমাম প্রথমে ছেলেদের ছুটি দিয়ে দিত । তারপর মেয়েদের যৌন নির্যাতন করত ।
এই কথা জানাজানি হতেই মসজিদ কমিটির তরফে ও পাড়ার কিছু মানুষ করে গিয়াসুদ্দিন শেখকে রাতারাতি সেখান থেকে তার বাড়ি হুগলির বলাগড়ে পাঠিয়ে দেয় । এরপর ওই লোকেরা ছাত্রীদের পরিবারকে হুমকি দেওয়া শুরু করেছে । অভিযোগ পত্রে ওই ইমামের শাস্তির দাবি করা হয়েছে ।
ছাত্রীদের একজন জানিয়েছে, "ওই ইমামের কাছে পড়তে যেতাম । উনি আমাদের জোর করে নির্যাতন করতেন । বাড়িতে মাকে বলেছিলাম । ভয়ে আর কাউকে বলিনি ।"
আরও পড়ুন :হুমকি দিয়ে লাগাতার ধর্ষণে গর্ভবতী কিশোরী, গ্রেফতার প্রতিবেশী
এক ছাত্রীর মা বলেন, "আমার মেয়ে ঘরে গিয়ে বলেনি । কারণ সবাই ভয় পাচ্ছিল । সপ্তাহ খানেক আগে আমার মেয়ে বিষয়টি জানায় । এরপর আমি সবাইকে জানিয়ে দিই । ওই মসজিদে ছেলে , মেয়ে একসঙ্গে পড়ত । ছেলেদের আগে ছুটি দিয়ে দেওয়া হত । মেয়েদের ছুটি দেওয়া হত না । এরপর তাদের যৌন নির্যাতন করত । দশ বারো জন মেয়ের সঙ্গে এই যৌন নির্যাতন করা হয়েছে । আমরা চাই ওই ইমামের শাস্তি হোক ।"
স্থানীয় বাসিন্দা কেয়ামুদ্দিন শেখ বলেন, "বিষয়টি জানাজানি হতে আমরা মসজিদ কমিটির কাছে যাই । গিয়ে দেখি তারা ইমামকে সেখান থেকে সরিয়ে দিয়েছে । হুগলির বলাগড়ে ইমামের বাড়ি । আমরা প্রতিবাদ করি, কেন ইমামকে কায়দা করে সরিয়ে দেওয়া হল । আমরা পুলিশকে জানিয়েছি ।"