বর্ধমান, 20 অক্টোবর : খোরপোশ দেননি তিনি৷ স্ত্রী ও কন্যাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন ৷ এই অভিযোগে ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে এক যুবককে মারধর করার অভিযোগ উঠল স্ত্রীর বিরুদ্ধে ৷ যদিও বাসে দেখতে পেয়ে ওই যুবকই গায়ে হাত তোলেন, অভিযোগ জানিয়েছেন মিতা কর নামের এই যুবতি ৷
প্রেমের পরই বিয়ে ৷ কিন্তু বিয়ের কয়েক বছর পর থেকেই শুরু হয় অশান্তি ৷ এরপরই ঘর থেকে স্ত্রী ও কন্যাসন্তানকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে ৷ সন্তানের ভরণপোষণের দায়িত্বও নেননি ৷ কিন্তু ফের বিয়ে করেছেন ওই যুবক ৷ থানায় হাজিরাও দেননা, এমনটাই জানান মিতা কর ৷
শনিবার রাতে এই ঘটনাকে ঘিরে শোরগোল পড়ে যায়। পরে পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে নিয়ে যায় থানায় ওই যুবককে । বর্ধমান শহরের উল্লাস উপনগরীতে থাকেন অনিরুদ্ধ কর নামে ওই যুবক । তিন বছর প্রেমের পর 2008 সালে শালবাগানের বাসিন্দা মিতা করের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর । বিয়ের কয়েকবছর পর থেকেই বনিবনা হচ্ছিল না স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে । বিষয়টি পুলিশ-আদালত পর্যন্ত গড়া য়। এদিন মিতা অভিযোগ করেন, বছর পাঁচেক আগে তাঁকে গলা টিপে ধরে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছিল তাঁরা স্বামী । তাঁকে ও মেয়েকে বাড়ি থেকে মেরে তাড়িয়ে দেওয়া হয় । তারপর থেকে বাপের বাড়িতে থাকেন তিনি ।
মিতা বলেন,''আমরা পুলিশে জানিয়েছি। কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আমাকে-মেয়েকে কোনও রকম খোরপোশও দেন না । আবার বিয়ে করেছেন ৷'' যদিও অনিরুদ্ধবাবু এদিন বলেছেন, ''মিতার সঙ্গে আমার বিয়ে হয়েছিল। আমাদের আদালতে মামলাও চলছে। কিন্তু এদিন বাসে আমাকে মারধর করে ওঁরা । এখানে নামিয়ে বেঁধে রেখেছে ।''
শনিবার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কলকাতা গিয়েছিলেন মিতাদেবী । ফেরার সময় বর্ধমানগামী বাসে অনিরুদ্ধকে তাঁরা দেখতে পান । সেখানে দু'পক্ষের বিবাদ বাধে । বাস বর্ধমানের পুলিশলাইন বাজারে থামলে মিতাদেবী ও তাঁর সঙ্গে থাকা লোকজন অনিরুদ্ধবাবুকে সেখানে জোর করে নামিয়ে মারধর করেন বলে অভিযোগ । অনিরুদ্ধকে একটি ল্যাম্পপোস্টে বেল্ট দিয়ে বেঁধে রাখা হয় । সেখানেও জুতোপেটা করা হয় বলেও অভিযোগ ওঠে । মিতাদেবী অবশ্য বলেন, ''বাসে তাঁকে অনিরুদ্ধবাবুই মারধর করেছে ।''