আউশগ্রাম, 14 নভেম্বর : নিম্নচাপের জেরে দিনভর চলছে বৃষ্টি । তার মধ্যেই হাতি তাড়াতে ব্যস্ত বন বিভাগ । কিন্তু টানা বৃষ্টির জন্য রাতের দিকে মশাল জ্বেলে কাজ করতে সমস্যায় পড়েছেন হুলা পার্টির লোকেরা । হাতি তাড়াতে তাই চিন্তার ভাঁজ বন বিভাগের আধিকারিকদের কপালে ।
বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, হাতির দলকে বাঁকুড়ার জঙ্গলে পাঠানোর জন্য বর্ধমান ছাড়াও দুর্গাপুর, বীরভূম ও বাঁকুড়া জেলা থেকে হুলা পার্টি আনা হয়েছে । তবে শনিবার থেকে টানা বৃষ্টির কারণে হাতি তাড়ানোর কাজ ব্যাহত হচ্ছে । এদিকে শনিবার গভীর রাতে হাতির দলটি গলসির পারাজের কাছে রেললাইন পারাপার করার চেষ্টা করছিল । সেই সময় ট্রেনের আওয়াজ পেয়ে হাতিগুলি লাইন পারাপার না করে দুটো দলে ভাগ হয়ে যায় । এর মধ্যে একটা দল চলে যায় আউশগ্রামের ভালকির জঙ্গলে অপরটি অমরারগড়ের দিকে ৷
আরও পড়ুন :Galsi Elephant: গলসিতে চাষের জমিতে হাতির দল, ক্ষতির আশঙ্কা
বন আধিকারিকদের মতে, এই এলাকাটা হাতিদের কাছে নতুন । ফলে এই জঙ্গলে তারা খাবার ও বিশ্রাম নেওয়ার জায়গা পেয়ে গেলে সেখান থেকে যেতে চাইবে না । এটাই বন বিভাগের কাছে চিন্তার বিষয় । আবার তাদের যে তাড়িয়ে নিয়ে যাবে তাতেও বাধ সেধেছে বৃষ্টি ৷
দক্ষিণবঙ্গের বন বিভাগের অতিরিক্ত মুখ্য বনপাল কল্যাণ দাস বলেন, ‘‘এতগুলো হাতি যখন একসঙ্গে এসেছে তখন ক্ষতি তো হবেই । তবে চাষিদের যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে সেই ক্ষতিপূরণ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দিয়ে দেওয়া হবে । এখন আমাদের একটাই লক্ষ্য, যেন কোনওভাবে মানুষের প্রাণহানি না ঘটে ৷ আমরা গ্রামবাসীদের সহযোগিতা চাইছি যাতে হাতিগুলিকে কেউ উত্যক্ত না করে । কারণ দল থেকে বিচ্ছিন্ন হলেই তাদের সামলানো কঠিন হয়ে যাচ্ছে । যদিও প্রশাসনিকভাবে আমরা সবাই মিলে চেষ্টা চালাচ্ছি । বাঁকুড়া, বীরভূম, দুর্গাপুর ও বর্ধমান থেকে হুলা পার্টির লোকেরা এসেছে । তারা সহযোগিতা করছে ৷ কিন্তু বৃষ্টির জন্য কাজে সমস্যা হচ্ছে ৷’’
আরও পড়ুন :Elephant : মানুষের ভিড় সরিয়ে আউশগ্রামে হাতির দলকে জঙ্গলে ফেরত পাঠানোই চ্যালেঞ্জ বন দফতরের