মঙ্গলকোট : চোখে জল । অঝোরে কেঁদেই চলেছে পাঁচ বছরের যিশু টুডু । বারবার জামা দিয়ে চোখ মুছছে । আর জানাচ্ছে সে আর বাড়ি ফিরতে চায় না । থানাতেই থেকে যেতে চায় সে । কিন্তু পরিবারের আকুতি ও পুলিশের বারবার বোঝানোর পর সে অবশেষে বাড়ি ফিরতে রাজি হয় । আর যখন সে ফিরছে তখন আশেপাশে সকল বাসিন্দা ও পুলিশের চোখে তখন জল । মঙ্গলকোট থানা এলাকার ঘটনা ।
মঙ্গলকোট থানার পুলিশের ভালোবাসার টানে বাড়ি ফিরতে চায় না 5 বছরের যিশু - Jishu did not want to return home
22 শে জুলাই রাত্রি ঠিক ন'টা । নতুনহাট বাসস্ট্যান্ডে একটি পাঁচ বছরের শিশু ঘোরাফেরা করছিল । স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে মঙ্গলকোট থানায় নিয়ে এসেছিল । সেদিন থেকেই মঙ্গলকোট থানায় ছিল সে । এরপর আজ তার পরিবারের লোক তাকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে থানায় আসে । কিন্তু সে যেতে চায় না ।
22 শে জুলাই রাত্রি ঠিক ন'টা । নতুনহাট বাসস্ট্যান্ডে একটি পাঁচ বছরের শিশু ঘোরাফেরা করছিল । স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে মঙ্গলকোট থানায় নিয়ে এসেছিল । সেদিন থেকেই মঙ্গলকোট থানায় ছিল সে । সকলের সঙ্গে মিলে আনন্দেই তার দিন কাটছিল । সকলের নয়নের মণি হয়ে উঠেছিল । মাঝে মাঝে সে জিমনাস্টিক , ফুটবল খেলাও দেখাচ্ছিল থানায় । খাবারের কোনও অভাব হচ্ছিল না । কখনও চকোলেট কখনও বিস্কুট আবার কখনও ঝালমুড়ি । সারাক্ষণ কেউ না কেউ তার মুখের সামনে খাবার দিয়ে যেত । মঙ্গলকোট থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক মিঠুন ঘোষ তাকে নতুন জামা প্যান্ট দেন । সবমিলিয়ে খুশিতে , আনন্দে দিন কাটাচ্ছিল যিশু । হঠাৎ করে তার ছন্দপতন হয় । বুধবার থেকে যিশুকে খুঁজে পাচ্ছিল না তার পরিবারের লোকজন । পরে মঙ্গলকোট পুলিশের তরফে তার বাড়িতে খোঁজ দেওয়া হয় । এরপরই আজ সকালে থানায় আসেন তার দিদিমা । বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চায় । কিন্তু যিশু তো আর বাড়ি ফিরতে চায় না । মঙ্গলকোট থানায় থেকে যেতে চায় সে । মা-দিদিমা বারবার অনুরোধ করলেও সে কোনও কথা শুনছিল না । অবশেষে পুলিশ যখন আশ্বাস দেয় যে মাঝেমধ্যে সে মঙ্গলকোট থানায় বেড়াতে আসতে পারবে । তখনই সে বাড়ি যেতে রাজি হয় ।
এক আধিকারিক (নাম বলতে অনিচ্ছুক ) জানান , এর আগে মঙ্গলকোট থানায় অনেক মানসিক ভারসাম্যহীন পুরুষ-মহিলা এসেছেন । থেকেছেন । কিন্তু যিশু যে ভালোবাসা তাদের সকলকে দিয়ে গেল তা তারা কখনও ভুলবে না । তারা চায় যিশু অনেক বড় হয়ে উঠুক । পরবর্তীকালে পরিবারের অসুবিধায় সবসময় পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন তারা ।