বর্ধমান, 1 জুলাই : "ভগবানে"র দিকে এগোচ্ছে লাইন ৷ রোগীদের কথায়, এমন "ভগবান" প্রতি পাড়ায় একটা করে থাকলে দুনিয়ার অসুখ সেরে যাবে ৷
লাইন লম্বা ৷ যেন কোনও মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের আউটডোরের উপচে পড়া ভিড় ৷ তবু, সেই লাইনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধৈর্য্য ধরে দাঁড়িয়ে মানুষ ৷ শিশু কোলে মা, যুবক থেকে বৃদ্ধ ৷ লাইন ফুরোলেই দেখা মিলবে "ভগবানে"র। অর্থাৎ ডাঃ নিতাই প্রামাণিকের। নিজের বাড়ির গাছতলায় ছোটো চেয়ারে বসে রোগী দেখেন । প্রশ্ন উঠবে, এই বাজারে, যখন ডাক্তারদের বিরুদ্ধে হাজারো অভিযোগ, ডাক্তারের উপর হামলা চেনা ঘটনা, তখন পূর্ব বর্ধমান জেলার এক ডাক্তার কীভাবে ভগবান হয়ে উঠলেন?
ফি দিয়ে যায় চেনা ! যে ডাক্তারের ফি বেশি, সে বড় ডাক্তার ! কিন্তু, এই ফি-এর বাজারেও বিনা পয়সায় রোগী দেখেন ডাঃ নিতাই প্রামাণিক । আজকের ঘটনা না, বহু বছরের প্র্যাক্টিস ৷ শুধু ফি না নেওয়াই নয়, অনেক ক্ষেত্রে দুস্থ রোগীদের বিনামূল্যে ওষুধও দেন ডাক্তারবাবু ।
বর্ধমান শহরের বিবেকানন্দ কলেজ মোড়। সেখান থেকে মোটামুটি 200 মিটার পশ্চিমে গেলে ডাঃ প্রামাণিকের বাড়ি । নেমপ্লেটের বালাই নেই ৷ সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীরাই ডাক্তারের নেমপ্লেট ! কলকাতার স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর । নিত্যদিন হাসপাতালের উদ্দেশে সকাল সাড়ে 8 টার ট্রেন ধরেন ৷ বেরোনোর আগে একপ্রস্থ রোগী দেখেন । সন্ধেয় ফিরে সামান্য বিশ্রাম নিয়ে গভীর রাত পর্যন্ত ফের রোগী দেখা । এছাড়া যে কোনও ছুটির দিনে ওই বাড়ির সামনে গেলেই দেখা মিলবে লম্বা লাইনের । লাইনে দাঁড়ানো রোগীদের কথায়, খুঁটিনাটি জেনে তবেই ওষুধ দেন ডাক্তারবাবু ৷