পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

Bardhaman Court: চরমে পিপি-এপিপি বিরোধ, সংঘাত মেটাতে আসরে মন্ত্রী - চরমে পিপি এপিপি বিরোধ

গত 28 মার্চ আদালতের মধ্যে এপিপিদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন পাবলিক প্রসিকিউটর। সেই ঝামেলার সুরাহ করতে এবার আসরে নামলেন রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ ৷

Bardhaman Court
বর্ধমান আদালত

By

Published : Apr 19, 2023, 9:59 AM IST

বর্ধমান, 19 এপ্রিল: পাবলিক প্রসিকিউটরের সঙ্গে আইনজীবীদের ঝামেলা মেটাতে এবার আসরে নামলেন রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। 'দুর্নীতিপরায়ণ' পাবলিক প্রসিকিউটরের পদত্যাগের দাবিতে বেশ কিছুদিন ধরেই উত্তাল বর্ধমান জেলা আদালত। এনিয়ে মন্ত্রী জানান, বিষয়টি নিয়ে তিনি জেলাশাসক ও রাজ্যের আইনমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করবেন।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের 28 মার্চ আদালতের মধ্যে এপিপিদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন পাবলিক প্রসিকিউটর। যা নিয়ে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়ায় বর্ধমান জেলা আদালতে। গতকাল এনিয়ে মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, "বারে একটা সমস্যা দেখা দিয়েছে। এদের দাবি যুক্তিসংগত। এদিন সিনিয়র আইনজীবী, এপিপিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বিষয়টি তিনি জেলাশাসক ও আইনমন্ত্রীকে জানাবেন। সাধারণ মানুষের জন্য আইনজীবীরা লড়াই করেন। তাঁদেরও সমস্যা আছে। তাঁদের বিষয়টাও দেখা উচিত।"

বর্ধমান আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরেই পিপির সঙ্গে বনিবনা হচ্ছে না এপিপিদের। পাবলিক প্রসিকিউটরের পদত্যাগের দাবি জানিয়ে আদালত চত্বরে পিপির বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ে। পিপিকে সরানোর দাবিতে ইতিমধ্যেই 28 জন এপিপি সই করেছেন। তাঁদের দাবি মানা না-হলে তাঁরা মামলা না-লড়ার হুমকিও দিয়েছেন। এপিপিদের অভিযোগ, বর্ধমান আদালতে যিনি এপিপি রয়েছেন তাঁর ফৌজদারি মামলা সম্পর্কে কোনও অভিজ্ঞতা নেই। জজ কোর্টে পিপি শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে এপিপিরা বচসায় জড়িয়ে পড়েন।

আরও পড়ুন:ট্রেনের কামরায় সিট নিয়ে ঝামেলা ! এনজেপি স্টেশনে গুলিবিদ্ধ প্রাক্তন সেনাকর্মী

দু'তরফই একে অপরকে মারধর করার অভিযোগ করেছে। পিপির অভিযোগ ছিল তাঁকে মাটিতে ফেলে বেধড়ক পিটিয়েছেন এপিপিরা। তাঁর বুকে পেটে আঘাত লেগেছে। তিনি কোনওরকমে পালিয়ে বাঁচেন। অন্যদিকে, এপিপিদের অভিযোগ , তাঁরা পিপিকে আদালত থেকে চলে যেতে বললে পিপি দু'জন এপিপির মুখে ঘুষি মারেন। এরপর নিজেই উত্তেজিত হয়ে চেয়ারে বসে পড়েন। তাঁকে কেউ মারধর করেনি।" বর্ধমান আদালতে 36 জন এপিপি আছে।

তার মধ্যে 28 জন এপিপি এই পিপির অপসারণ চেয়ে জেলা জজকে এবং ডিএমকে লিখিতভাবে জমা দিয়ে জানিয়েছেন। ঘটনার দিন এপিপিরা পিপির কাছে অনুরোধ করে তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কাজ না-করার। তাঁরা সেখান থেকে পিপিকে চলে যেতে অনুরোধ করেন। তখন পিপি সেখান থেকে যেতে রাজি হননি। উলটে দু'জন এপুপির মুখে ঘুষি মারেন।

আরও পড়ুন:আইনজীবীদের চেম্বারের জন্য বিষয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনার আশ্বাস সুপ্রিম কোর্টের

ABOUT THE AUTHOR

...view details