পূর্ব বর্ধমান, 9 নভেম্বর:আর কয়েকদিন পরেই কাটা হবে সোনালি শস্য (Paddy)। ধান পাকার সময় হয়ে এসেছে । হঠাৎ বাদামি শোষক পোকার (Brown borer) আক্রমণে দিশেহারা পূর্ব বর্ধমানের কৃষকেরা । বাজার থেকে চড়া দামে কীটনাশক কিনে তা স্প্রে করা হয়েছে ৷ কিন্তু শেষরক্ষা হবে কি না, তা নিয়ে রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে কৃষকদের ।
পূর্ব বর্ধমান জেলায় চলতি মরশুমে 3 লক্ষ 74 হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ করা হয়েছে । আর প্রায় দিন পনেরো-কুড়ি পরে ধান কাটা শুরু হবে । এদিকে সবে শীত পড়তে শুরু করেছে । জেলার আউশগ্রাম, রায়না, খণ্ডঘোষ, ভাতার, গলসি, বর্ধমান-সহ বিভিন্ন ব্লকে ধান গাছের গোড়ায় বাদামি শোষক পোকা ধরে গিয়েছে । ফলে ধান পাকার মুখে শিস নষ্ট হয়ে যাচ্ছে (Paddy Cultivation) ।
কৃষি বিশেষজ্ঞদের মতে, সাধারণত ধান পাকার আগে গড় তাপমাত্রা 22 ডিগ্রির আশেপাশে থাকার কথা । সেক্ষেত্রে পোকা লাগার সম্ভাবনা থাকে না । কিন্তু সবে শীত পড়তে শুরু করায় তাপমাত্রা 28-30 ডিগ্রির আশেপাশে ঘোরাফেরা করছে । ফলে বাড়ছে পোকার উপদ্রব । তাছাড়া ধান রোয়ার সময় গাছের ব্যবধান কম থাকায় বাতাস চলাচলে সমস্যা দেখা দিলে, পোকার হামলা হতে পারে । এছাড়া চাষিরা যখন কীটনাশক প্রয়োগ করেন সেই সময় সঠিকভাবে সমস্ত ধানে দেওয়া হয় না ৷ ফলে সমস্যা থেকেই যায় (Brown borer ruing paddy in Purba Bardhaman)।
কৃষক পঞ্চানন সরকার বলেন, "ধান কাটতে এখনও দিন পনেরো-কুড়ি বাকি রয়েছে । এরমধ্যেই শোষক পোকা ধরে গিয়েছে । ইতিমধ্যেই তিন থেকে চারবার কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়েছে । এরপর যদি আবার পোকা লাগে, তাহলে ওষুধ দিতে হবে। কিন্তু ওষুধ দিয়েও কাজ হচ্ছে না । মনে হচ্ছে ওষুধেও ভেজাল রয়েছে । পরিস্থিতি এমনই যে ধান কাটার সময়েও শোষক পোকা লাগতে পারে । এর ফলে ধানের শিস হালকা হয়ে যাবে । ফলন হবে না । ফলে চিন্তা রয়েই গিয়েছে । আর কৃষি দফতরের তরফে বা সরকারি কোন সাহায্য পাই না । এমনকী চাষের জন্য জলও পাই না ।"