খণ্ডঘোষ, 22 জুন :বিজেপি করার ‘অপরাধে’ ঘরছাড়া হতে হয়েছিল তাঁকে ৷ শেষমেশ পুলিশের হস্তক্ষেপে বাড়িতে ফিরলেও দুর্ভোগ ঘুচল না ৷ ওই মহিলাকে মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ৷ পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষের ঘটনায় অস্বস্তিতে শাসকশিবির ৷ মহিলার পাশে থাকার বার্তা স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের ৷
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযোগকারিণী বধূ খণ্ডঘোষের উখরিদ গ্রামের বাসিন্দা ৷ তিনি বিজেপির সক্রিয় কর্মী ৷ মহিলার দাবি, শুধুমাত্র এই কারণেই তাঁকে গ্রাম ছেড়ে পালাতে হয়েছিল ৷ মহিলার অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় নেতা ও কর্মীদের অত্যাচারেই বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছিলেন তিনি ৷
আরও পড়ুন :পাণ্ডুয়ায় যুব মোর্চা নেতাকে মারধর, অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে
সম্প্রতি এই খবর যায় পুলিশ প্রশাসনের কাছে ৷ তারা ঘরছাড়া মহিলাকে ঘরে ফেরাতে উদ্যোগী হয় ৷ পুলিশই ওই মহিলাকে বাঁকুড়া থেকে খণ্ডঘোষে ফিরিয়ে আনে ৷ তাঁকে তাঁর বাড়িতেও পৌঁছে দেওয়া হয় ৷ কিন্তু এতকিছুর পরও শান্তি মেলেনি ৷ মহিলার দাবি, পুলিশ চলে যেতেই ফের শুরু হয় অত্য়াচার ৷ তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় নেতা ও কর্মীরা তাঁকে মারধর করেন ৷ এমনকী, তাঁর শ্লীলতাহানিও করা হয় বলে অভিযোগ ৷ এরপর ফের পুলিশকে হস্তক্ষেপ করতে হয় ৷
মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মহিলা জানান, বিজেপি করার জন্যই গত চার বছর ধরে তাঁকে 100 দিনের কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না ৷ তাঁর ও তাঁর পরিবারের উপর নানাভাবে অত্যাচার করা হচ্ছে ৷ এমনকী, তাঁর স্বামীকে খুনের হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে ৷ খণ্ডঘোষ থানার পুলিশের সহযোগিতায় তিনি বাড়ি ফিরতে পেরেছেন ঠিকই, তবে এখনও ভয়ে ভয়ে দিন কাটছে তাঁর ৷ এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সাহায্যের আর্জি জানিয়েছেন ওই মহিলা ৷
আরও পড়ুন :ঘরছাড়া বিজেপি কর্মী বাড়ি ফিরতেই মারধর করে খুনের হুমকি, অভিযুক্ত তৃণমূল
সব শুনে পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি দেবু টুডু বলেন, ‘‘নির্বাচন পরবর্তী সময় বিজেপির বহু নেতা ও কর্মী বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন ৷ পরে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা ও কর্মীরাই তাঁদের ফিরিয়ে নিয়ে আসেন ৷ তবে কয়েকটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটছে ৷ অনেক সময় দেখা যাচ্ছে, ব্যক্তিগত কারণে কেউ কেউ এমন কাণ্ড ঘটাচ্ছেন ৷ এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই ৷ ওই মহিলা যা বলছেন, তা যদি ঘটে থাকে, তাহলে বলব, তৃণমূল কংগ্রেস তাঁর পাশে আছে ৷ আমরা প্রশাসনকেও বলেছি, কোনও বিরোধী দলের কর্মী বা সমর্থকের উপর যেন অত্যাচার না হয় ৷ আর যদি কেউ তা অমান্য করে, তাহলে যেন দোষীর বিরুদ্ধে আইন মাফিক পদক্ষেপ করা হয় ৷’’