বর্ধমান, 15 ফেব্রুয়ারি: আগে জানতাম বম্বের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি চালাতে দাউদ ইব্রাহিমের টাকা লাগে ৷ এখন আবার দেখছি গরু পাচারের টাকায় পশ্চিমবাংলায় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি চলছে (Bengal film industry running with the money of cow trafficking)। তৃণমূল সাংসদ-অভিনেতা দেবকে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করায় তাঁকে এই ভাষাতেই কটাক্ষ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh attacks Dev)৷
বর্ধমানে বিজেপির এক পথসভায় যোগ দেন দিলীপ ঘোষ ৷ তিনি কার্জনগেটে বর্ধমান পৌরসভা নির্বাচনের বিজেপি প্রার্থীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন । সেখানে পথসভা করার পর দিলীপ বলেন, "সিবিআই তার কাজ করছে । পশ্চিমবাংলা জুড়ে পাথর, বালি, গরু পাচারের যে দুর্নীতি হয়েছে সেটা সকলেই জানে । বহু বছর ধরে আমরা চেষ্টা করছিলাম যাতে দোষীরা সাজা পায় । এতদিনে সিবিআই, ইডি সেই কাজগুলো করছে । আমরা জানতাম বম্বের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে দাউদ ইব্রাহিমের টাকা লাগে । কিন্তু পশ্চিমবাংলার ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে গরু পাচারের (cow trafficking case), কয়লা পাচারের টাকা লাগে এটা এখন জানা যাচ্ছে ।"
আরও পড়ুন:CBI Interrogate Dev : উপহারের বদলে কী কী সুবিধা দিতেন এনামুলকে ? দেবকে প্রশ্নবাণ সিবিআইয়ের
পৌরনিগমের ভোট পর্বকে কটাক্ষ করে দিলীপ ঘোষ এ দিন বলেন, "শুধু শিলিগুড়ি নয়, পশ্চিমবঙ্গে যত ভোট হচ্ছে সারা বছর ধরেই ভোট হচ্ছে । অক্টোবর, নভেম্বর, ডিসেম্বর, জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি সব মাসেই ভোট হচ্ছে । ভারতবর্ষের আর কোনও রাজ্যে এই রকম ভাবে ভোট করা হয় না । এখানে এই রাজ্যে বারো মাসে তেরো পার্বণের মত ভোট পর্ব চলে । কারণ দুটো চারটে করে ভোট করলে লুঠ করা সহজ হবে । না হলে আমরা যেখানে লিড পেয়েছিলাম, সেখানে একজন প্রার্থী কী করে আশি শতাংশ ভোট পেয়ে যায় । এটা গণতন্ত্রে কোথাও হয় না ৷ একমাত্র বাংলাতেই হয় ।"
বিজেপি নেতার কথায়, "গোমূত্রে সোনা আছে, সে কথা আমি বর্ধমানে এসে বলেছিলাম । যাঁরা গোমুত্রের ধার ধারেন না, সোনার ধার ধারেন না, তাঁরা নাচানাচি করেছিলেন । পৃথিবীতে বিজ্ঞান নিয়ে অনেক রিসার্চ হচ্ছে ৷ সেখান থেকে অনেক তথ্য উঠে এসেছে । সেখানে খুঁজে দেখা উচিত । কিছু লোক না জেনে লাফালাফি করে, হাসাহাসি করে ৷ তাদের প্রতি আমার দয়া হয় ।"
আরও পড়ুন :Dev at Nizam Palace : গরু পাচার কাণ্ডে সিবিআইয়ের তলবে নিজাম প্যালেসে দেব
কেন্দ্রীয় বাহিনী সারা বছর অ্যাক্টিভ থাকা উচিত বলে মত দিলীপ ঘোষের । এ নিয়ে তিনি বলেছেন, "আমরা চাইছি কেন্দ্রীয় বাহিনী সারা বছর ধরে অ্যাক্টিভ থাকুক । আর সমস্ত দোষীদের ধরুক । কারণ রাজ্য পুলিশের উপর ভরসা নেই । পুলিশের সামনে অপরাধ হচ্ছে । না হলে গরু পাচার, কয়লা পাচার হচ্ছে কী করে, বালি পাচার হচ্ছে কী করে ? তাই নির্বাচন এলেই মানুষ বারবার করে কেন্দ্রীয় বাহিনী চায় । কারণ কেন্দ্রীয় বাহিনীর হাত ধরে যাতে অপরাধমুক্ত বাংলা হয় ।"