প্রচারে বেরোতে পরিচারিকার কাজে মাসখানেকের ছুটি বিজেপি প্রার্থীর

পেশায় পরিচারিকা কলিতা মাঝি বলেন, "আমি তো টিকিটের জন্য কোথাও কোন আবেদন করিনি । তবে বিজেপির কাজকর্ম ভালো লাগতো । আমিও যেতাম তাদের পার্টি অফিসে । হয়তো আমার কাজকর্ম তাদের ভালো লেগেছে। তাই কাজ করার সুযোগ দিয়েছে । প্রচারে বেরোতে হবে বলে চার বাড়ি থেকে মাসখানেকের জন্য ছুটি নিয়েছি । যে সব বাড়িতে কাজ করি তাঁরাও আমাকে বলেছেন, আপাতত কাজ করতে হবে না । প্রচারে জোর দিতে ।"

আউশগ্রাম, ২০ মার্চ : নির্বাচনের প্রচারে বেরোতে হবে, তাই পরিচারিকার কাজ থেকে মাসখানেকের ছুটি চেয়েছেন কলিতা মাঝি। সকাল থেকে চারটে বাড়িতে ঘুরে ঘুরে পরিচারিকার কাজ করে সংসার চালান আউশগ্রামের বাসিন্দা কলিতা মাঝি। বিধানসভা নির্বাচনে আউশগ্রাম বিধানসভা থেকে তাঁকে প্রার্থী ঘোষণা করে বিজেপি ৷

যখন প্রার্থী ঘোষণার কাজ চলছিল তখন একটি বাড়িতে কাজ করছিলেন কলিতা। সেই সময় ফোন করে এক ব্যক্তি তাঁর প্রার্থী হওয়ার খবর দে়ন। যা শুনে তিনি রীতিমতো তাজ্জব বনে যান ৷ কলিতা বলেন , "আমি তো কোনও জায়গায় বিধানসভায় টিকিটের জন্য আবেদন করিনি। দল কিছু ভালো মনে করেছে, তাই হয়তো আমাকে টিকিট দিয়েছে ।"

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাজকর্ম ভালো লাগে, তাই বছর পাঁচেক ধরে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন কলিতা মাঝি। গুসকরা পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মাঝিপাড়ার বাসিন্দা কলিতা। তাঁর স্বামী সুব্রত মাঝি কলমিস্ত্রি। সকাল হতে না হতেই পরিচারিকার কাজের জন্য বেরিয়ে পড়েন কলিতা। অভাবের সংসারের কারণে লেখাপড়া শিখতে পারেননি তিনি। শ্বশুর, শাশুড়ি, ছেলে, দেওর নিয়ে যৌথ পরিবার তাঁর । চার বাড়ির কাজ সামলে বাড়ি ফিরে গোরু-ছাগল দেখাশোনাও করেন তিনি । বিধানসভায় টিকিট পাওয়ায় রাতারাতি প্রচারের আলোয় চলে এসেছেন তিনি ।

কলিতা মাঝি বলেন, ‘‘ প্রচারে বেরোতে হবে বলে চার বাড়ি থেকে মাসখানেকের জন্য ছুটি নিয়েছি । যে সব বাড়িতে কাজ করি তাঁরাও আমাকে বলেছেন, আপাতত কাজ করতে হবে না । প্রচারে জোর দাও ।"

যেহেতু অভাবের সংসারে নিজে লেখাপড়া শিখতে পারেননি তাই ভোটে জিতে প্রথম কাজ হবে গরিব ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনায় সাহায্য করা। এদিকে খেলা হবে প্রশ্নে হেসে ফেলেন কলিতা। হাসিমুখে বলেন, ‘‘দিদি তো পা ভেঙে পড়ে আছেন , ভাঙা পায়ে খেলবেন কী ভাবে ?’’