কেতুগ্রাম, 7 মে : ফের রাজনৈতিক হিংসার বলি হলেন পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের এক যুবক। মৃতের নাম বলরাম মাঝি (20) । যদিও মৃতের পরিবারের অভিযোগ তারা কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত না। কেবল সন্দেহের বশে তৃণমূল কংগ্রেসের দুষ্কৃতীরা ওই যুবককে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে খুন করেছে । যদিও ওই যুবক বিজেপি সমর্থক বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে কেতুগ্রামের শ্রীপুর গ্রামে বলরাম মাঝির পরিবারের উপর হামলা করে তৃণমূল কংগ্রেসের একদল দুষ্কৃতী। তারা বাড়ি ভাঙচুর করার পাশাপাশি বলরাম মাঝির বাবাকে মারধর করতে শুরু করে। যা দেখতে পেয়ে বলরাম তার বাবাকে বাঁচানোর জন্য যায়। তখন তাকেও মাটিতে ফেলে লাঠি- বাঁশ দিয়ে মাথায় আঘাত করে দুষ্কৃতীরা। পরে দুষ্কৃতীরা তাকে সেখানে ফেলে চম্পট দেয় । এদিকে ঘটনার দিন রাতে বলরামের পরিবার ভয়ে বলরামকে নিয়ে চিকিৎসা কেন্দ্রে যেতে পারেনি। সারারাত ঘরেই আহত অবস্থায় পড়েছিল বলরাম। বুধবার সকালে তাকে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে একটা বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গভীর রাতে বলরাম মারা যায়।
বলরাম মাঝির মা টুম্পা মাঝি বলেন, "আমরা কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নই। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ আমাদের গ্রামের মানুষজন বিজেপিকে ভোট দিয়েছে। সেই আক্রোশে মঙ্গলবার রাতে আমাদের বাড়িতে হামলা হয়। বলরামের বাবাকে 10-15 জন যুবক বাঁশ দিয়ে পেটাতে শুরু করে। বলরাম তার বাবাকে বাঁচাতে গেলে তাকে মাটিতে ফেলে মাথায় বাঁশ লাঠি দিয়ে মারে তারা। এরপর তাকে ঘর থেকে চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যেতে দেওয়া হয়নি। গতকাল একটা বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়। তারপর রাতেই সে মারা যায়। "
কেতুগ্রামে যুবককে পিটিয়ে খুন, অভিযুক্ত তৃণমূল
ভোট কেটে গিয়েছে ৷ ফলাফলও ঘোষিত হয়েছে ৷ কিন্তু রাজনৈতিক হিংসা বিন্দুমাত্র কমেনি ৷ এবার রাজনৈতিক হিংসার বলি হলেন কেতুগ্রামের এক বিজেপি কর্মী ৷ অভিযোগ , তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাকে পিটিয়ে খুন করেছে ৷ যদিও বিজেপি শিবির দোষ চাপিয়েছে তৃণমূলের উপরই ৷
কেতুগ্রামে যুবককে পিটিয়ে খুন
আরও পড়ুন :তিনদিন মর্গে পড়ে বিজেপি কর্মীর মায়ের দেহ, ক্ষোভ দলের একাংশের
বিজেপি নেতা অনিল দত্ত বলেন, "বলরাম বিজেপির কর্মী ছিল। তাদের বাড়িতে তৃণমূল কংগ্রেসের দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়ে বলরামকে খুন করেছে।" অন্যদিকে কেতুগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক শেখ শাহনওয়াজ বলেন, "বিজেপির লোকজন উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলায় প্রথমে একটা গন্ডগোল বাধে ৷ তারপর দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয় ৷ এর জন্য দায়ী বিজেপি।"