বর্ধমান, 25 জুলাই : বরাদ্দ হয়েছিল কয়েক লাখ ৷ তিন কিলোমিটার রাস্তা তৈরির হিসেব দিয়ে বসানো হয় মহাত্মা গান্ধি জাতীয় গ্রামীণ কর্মনিশ্চয়তা প্রকল্পের সিমেন্টের ফলকও ৷ ঘটা করে ফিতে কেটে মিহিদানা খাওয়ানো হয় গ্রামবাসীদের ৷ পূর্ব বর্ধমানের গাঙপুর থেকে গঞ্জ মোড় পর্যন্ত কুমিরের দাঁতের মতো এবড়ো খেবড়ো রাস্তার পাশে ধীরে ধীরে জমা হয় বালি,পাথর, স্টোনচিপ ৷ আশায় বুক বাঁধেন স্থানীয়রা ৷ রাতারাতি নতুন রাস্তার স্বপ্নভঙ্গ হয়৷ উধাও হয়ে যায় রাস্তা তৈরির সামগ্রী ৷ কারা যেন হিসেব দেখানো সিমেন্ট ফলকটাও ভেঙে দেয় ৷ স্থানীয়দের অভিযোগ, তৃণমূলের নেতা কর্মীরা খাতায়-কলমে রাস্তা তৈরির হিসেব দেখিয়ে সমস্ত টাকা আত্মসাৎ করেছেন ৷
দু'নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে বর্ধমান থেকে শক্তিগড় যাওয়ার পথে গাঙপুরের রেলগেট পার করলেই মিলবে বৈকুন্ঠপুর যাওয়ার রাস্তা । কিছুটা মোরামের রাস্তা পেরোলেই দেখা যাবে গাঙপুর থেকে গঞ্জমোড় পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার এবড়ো-খেবড়ো রাস্তা । ওই রাস্তা দিয়েই গ্রামের ছেলেমেয়েরা স্কুলে যায় ৷ অসুস্থ মানুষকেও কষ্ট করে গ্রাম থেকে বর্ধমান মেডিকেলে আনতে গেলে খুবই সমস্যায় পড়তে হয় । বর্ষায় সেই অবস্থা আরও করুণ হয় । এমন কী, নিত্যদিন ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন বর্ধমান উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক নিশীথ মালিক । বাম আমলে রাস্তা পিচ করা হয় ৷ তারপর তিনবার টাকা বরাদ্দ হয় তৃণমূল আমলে ৷ কিন্তু কাজ আর এগোয়নি ৷