শক্তিগড়, 4 এপ্রিল: সিবিআইয়ের খাতায় পলাতক গরু পাচারকারী আব্দুল লতিফ ৷ কিন্তু রাজু ঝা-এর খুনের ঘটনায় সেই লতিফের ভূমিকা নিয়েই এবার সন্দেহ দানা বাঁধছে পুলিশের ৷ সিবিআইয়ের তালিকায় গরুপাচারে অভিযুক্ত আব্দুল লতিফ পলাতক ৷ কিন্তু, এবার পুলিশকে দেওয়া বয়ানে আব্দুল লতিফের গাড়ির চালক নূর হোসেন জানালেন, ঘটনার দিন সকালে লতিফ নিজের ইলামবাজারের বাড়িতেই ছিলেন ৷ এমনকি শক্তিগড়ে রাজুকে গুলি করার সময়ও গাড়িতেই ছিলেন তিনি ৷ ঘটনার সময় গাড়িতে চারজন ছিলেন ৷ কিন্তু, খুনের পর থেকেই উধাও হয়ে যান লতিফ ৷ চালকের এই বয়ানে ফের একবার গরুপাচার মামলায় সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ৷
পুলিশ জানতে পেরেছে ঘটনার দিন গাড়িতে ওঠার আগে রাজুর সঙ্গে লতিফের কোনও বিষয় নিয়ে তর্কাতর্কি হয়েছিল ৷ কিন্তু, তারপরেও কেন লতিফের গাড়িতে করে রাজু কলকাতা রওনা দিলেন ? তা ভাবাচ্ছে পুলিশকে ৷ শুধু তাই নয় একটি ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে (যার সত্যতা যাচাই করেনি ইটিভি ভারত) রাজু গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর, লতিফ গাড়ির সামনে মোবাইলে কথা বলছেন ৷ অথচ পুলিশের কাছে সেই নিয়ে কোনও তথ্যই নেই ৷ এমনকি শক্তিগড় থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে, সেখানেও ছিলেন না আব্দুল লতিফ ৷
5 বছর ধরে লতিফের গাড়ি চালক হিসেবে কর্মরত নূর হোসেন এফআইআর কপিতে পুলিশকে জানান, ঘটনার দিন অর্থাৎ 1 এপ্রিল শনিবার তিনি বীরভূমের দুবরাজপুরের বাড়ি থেকে বের হন ৷ ওই দিন সকাল আটটা নাগাদ প্রতিদিনের মতো বীরভূমের ইলামবাজারে আব্দুল লতিফের বাড়িতে যান নূর ৷ বেলা দেড়টা নাগাদ লতিফকে সাদা ফরচুনার গাড়িতে তুলে দুর্গাপুরের দিকে রওনা দেন ৷ যাওয়ার পথে লতিফের কথা মতো দুর্গাপুরের ভিড়িঙ্গি মোড় থেকে ব্রতীন মুখোপাধ্যায়কে গাড়িতে তোলেন ৷
এরপর সরাসরি দুর্গাপুর সিটি সেন্টারে ফরচুনার হোটেলের সামনে গাড়ি দাঁড় করান ৷ সেখানে লতিফ এবং ব্রতীন দু’জনেই গাড়ি থেকে নেমে যান ৷ ওই হোটেলের মালিক রাজু ঝা তখন বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন ৷ এরপর তিনজনেই হোটেলে ঢুকে যান ৷ সন্ধে 6টা 10 মিনিট নাগাদ রাজু ঝা, আব্দুল লতিফ ও ব্রতীন মুখোপাধ্যায় একসঙ্গে গাড়িতে ওঠেন ৷ এরপর গাড়ি ছুটতে থাকে কলকাতার দিকে ৷ সন্ধে 7টা 35 মিনিট নাগাদ শক্তিগড় ল্যাংচা বাজারের একটি দোকানের কাছে রাজু ঝা-র কথা মতো গাড়ি দাঁড় করানো হয় ৷ সেখানে রাজু ঝা গাড়িতেই বসে ছিলেন ৷ বাকি তিনজন গাড়ি থেকে নেমে গিয়ে ঝালমুড়ি কিনে গাড়িতে উঠে পড়েন ৷