কেতুগ্রাম, 26 ডিসেম্বর:গতকাল থেকে নিখোঁজ ছিলেন বছর বিয়াল্লিশের চিন্তা দাস। কাজে যাওয়ার নাম করেই তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। সোমবার পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের বামুন্ডি গ্রাম সংলগ্ন মাঠে তাঁর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা (A Woman Dead Body Recovered at Ketugram।
চিন্তা দাসের পরিবারের দাবি, তাঁকে খুন করে মাঠে ফেলে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চিন্তা দাস খেতমজুরের কাজ করতেন। তাঁর স্বামী নেই। বাড়িতে তাঁর ছেলে ও মেয়ে রয়েছে। পাশের শান্তিনগর গ্রামের বাসিন্দা অজিত দাসের সঙ্গে তাঁর বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল বলে দাবি স্থানীয়দের। মাস চারেক আগে সমবায় থেকে 60 হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন তিনি। সেই টাকা তিনি অজিত দাসকে দেন। অজিতবাবু সেই টাকা আর চিন্তাদেবীকে ফেরত দেননি। মাঝে-মধ্যেই সেই টাকা চাওয়া নিয়ে তাঁদের মধ্যে অশান্তি হত বলেও জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন:নিঁখোজ যুবকের পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার, চাঞ্চল্য দুর্গাপুরে
অন্যদিকে, রবিবার সকালের দিকে অজিত ফোন করে চিন্তাদেবীকে কাজের জন্য ডেকে পাঠান। এরপর থেকে তিনি সারাদিন বাড়ি ফেরেননি। ফলে তাঁর বাড়ির লোক চিন্তিত হয়ে পড়েন। আজ সোমবার বামুন্ডি গ্রামের পশ্চিমমাঠে যখন অন্যান্য খেতমজুররা কাজ করছিলেন তখন তাঁরা হাত-পা-মুখ বাঁধা অবস্থায় চিন্তাদেবীকে পড়ে থাকতে দেখেন। তাঁর হাত দড়ি দিয়ে ও মুখ গামছা দিয়ে বাঁধা ছিল। স্থানীয়দের মতে সেই টাকা চাওয়া নিয়ে বচসার জেরে অজিত দাস চিন্তাদেবীকে খুন করে।
তাঁদের অনুমান, তাঁকে ধর্ষণও করা হয়েছে। তাঁর দেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা ৷ পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। চিন্তা দাসের ছেলে দেবজ্যোতি দাস বলেন, "আমার মাকে ফোন করে অজিত দাস ডেকেছিল। মাস চারেক আগে সমবায় থেকে মা 60 হাজার টাকা ধার করে অজিতকে দিয়েছিল। সেই টাকা চাওয়া নিয়ে তাঁদের মধ্যে বিবাদ চলছিল।" সেই টাকা চাওয়ায় বচসার জেরেই তাঁর মাকে খুন করা হয়েছে বলে দাবি দেবজ্যোতির। যদিও ঠিক কী কারণে খুনের ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখছে কেতুগ্রাম থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন:দমদম পার্কে পুকুরে উদ্ধার বৃদ্ধার মৃতদেহ