পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

Durga Puja 2023: নবমীতে বর্ধমানের সর্বমঙ্গলা মন্দিরে বিভিন্ন বয়সের 9 কুমারীকে পুজো! - সর্বমঙ্গলা মন্দির

Kumari Puja in Burdwan Temple: নবমীতে বর্ধমানের সর্বমঙ্গলা মন্দিরে তেরো বছর বয়স পর্যন্ত পুজো করা হল 9 কুমারীকে ৷ এই পুজো শুরুর পিছনে রয়েছে তিনশো বছর পুরনো ইতিহাস ৷

Kumari Puja at Sarbamangala temple
সর্বমঙ্গলা মন্দিরে কুমারী পুজো

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Oct 23, 2023, 6:38 PM IST

নবমীতে বর্ধমানের সর্বমঙ্গলা মন্দিরে বিভিন্ন বয়সি 9 কুমারীকে পুজো

বর্ধমান, 23 অক্টোবর: রাজ পরিবারের রীতি মেনেই মহানবমীর দিনে নয় কুমারীর পুজো করা হয় বর্ধমানের সর্বমঙ্গলা মন্দিরে । রাজ্যের বেশিরভাগ জায়গায় যেখানে মহাষ্টমীতে করা হয় কুমারী পুজো, সেখানে সর্বমঙ্গলা মন্দিরে নবরাত্রির পুজোর শেষের দিন অর্থাৎ নবমীতে এই কুমারী পুজো করা হয়ে থাকে । যা দেখতে ঢল নামে দর্শনার্থীদের ।

কুমারী পুজোতে বিভিন্ন বয়সের কন্যাকে মা দুর্গার ভিন্ন ভিন্ন রূপে পুজো করা হয়ে থাকে । যেমন এক বছরের কন্যাকে পুজো করা হয় সন্ধ্যা রূপে, দুই বছরের মেয়েকে সরস্বতী, যার বয়স তিন তাকে ত্রিধামূর্তি রূপে, চার বছরের কন্যাকে কালিকা, পাঁচ বছরের কন্যাকে সুভগা, ছয় বছরের কন্যা উমা, সাত বছরের কন্যা মালিনী, আট বছরের কন্যা কুঞ্জিকা রূপে পূজিত হয় । যার বয়স নয় তাকে পুজো করা হয় কালসন্দর্ভা রূপে, দশ বছরের কন্যা অপরাজিতা, এগারো বছরের কন্যা রুদ্রাণী, বারো বছরের কন্যা ভৈরবী ও তেরো বছরের কন্যা মহালক্ষ্মী রূপে পুজো করা হয় ।

সর্বমঙ্গলা মন্দিরে কুমারী পুজোর জন্য তেরো বছর বয়স পর্যন্ত নয় জনকে বেছে নেওয়া হয় । তাদের বয়স অনুযায়ী মা দুর্গার সেই রূপে পুজো করা হয় । 1702 সালে বর্ধমানের মহারাজা কীর্তিচাঁদ দেবী সর্বমঙ্গলা মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন । কথিত আছে, বর্ধমানের বাহির সর্বমঙ্গলা এলাকায় তখন বেশিরভাগ জলাজমি ছিল, ছিল ধানক্ষেতও এবং এলাকায় অনেক পুকুর ঘাটও ছিল । ওই সব পুকুর ঘাটে মাছ গুগলি কাঁকড়া ধরা হত । এইভাবেই একদিন মাছ ধরতে গিয়ে একজনের জালে একটা শিলার মতো পাথর উঠে আসে । সেই পাথরের উপরেই চলতে থাকে গুগলি শামুক থেঁত করা ।

আরও পড়ুন:বেহালায় সাবর্ণ রায়চৌধুরীদের বড় বাড়িতে নবমীতে কুমারী পুজো

এ দিকে গুগলি শামুকের সঙ্গে ওই শিলাকেও আগুনে পোড়ানো হতে থাকে । কিন্তু আগুনে ওই শিলার কোনও ক্ষতি হয়নি । অন্যদিকে ওই দিন রাতেই বর্ধমানের মহারাজা চিত্রসেনকে স্বপ্নে দেখা দেন মা সর্বমঙ্গলা । রাজা জানতে পারেন, রাজবাড়ির পাশে যে চুনের ভাঁটা আছে সেখানে শিলা রূপে তিনি পড়ে আছেন । রাজা ওই মূর্তি উদ্ধার করতে গেলে জানতে পারেন, তিনজন ব্রাহ্মণ পুজো করার জন্য ওই শিলামূর্তি নিয়ে গিয়েছেন । এ দিকে রাজা তাঁদের কাছে ডুব ঘটনার কথা জানিয়ে মূর্তি আনতে গেলে তারা দিতে অস্বীকার করেন । তারপরে অবশ্য রাজার প্রস্তাবে ব্রাহ্মণেরা রাজি হন ৷ এরপরেই প্রায় তিনশো বছর আগে এই মন্দির নির্মাণ করে পুজো শুরু হয় । তারপর থেকে রাজবাড়ির নিয়ম রীতি মেনে মহানবমীতে নবরাত্রি পুজো শেষের দিনে কুমারী পুজো করা হয় এখানে ।

আরও পড়ুন:নবমীতে বৃষ্টিতে ভিজল মহানগর, ছাতা মাথায় শহরে জনতার ভিড়

মন্দিরের প্রধান পুরোহিত অরুণ ভট্টাচার্য বলেন, "রাজ আমলের প্রথা মেনে নবমীর দিনে সর্বমঙ্গলা মন্দিরে কুমারী পুজো করা হয় । সেই রীতি মেনে আজও নয় কুমারীকে পুজো করা হয়েছে । আগে এখানে ছাগল ও মোষ বলি দেওয়া হত । তবে এখন বলিদান প্রথা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ।"

ABOUT THE AUTHOR

...view details