বর্ধমান, 23 অক্টোবর: রাজ পরিবারের রীতি মেনেই মহানবমীর দিনে নয় কুমারীর পুজো করা হয় বর্ধমানের সর্বমঙ্গলা মন্দিরে । রাজ্যের বেশিরভাগ জায়গায় যেখানে মহাষ্টমীতে করা হয় কুমারী পুজো, সেখানে সর্বমঙ্গলা মন্দিরে নবরাত্রির পুজোর শেষের দিন অর্থাৎ নবমীতে এই কুমারী পুজো করা হয়ে থাকে । যা দেখতে ঢল নামে দর্শনার্থীদের ।
কুমারী পুজোতে বিভিন্ন বয়সের কন্যাকে মা দুর্গার ভিন্ন ভিন্ন রূপে পুজো করা হয়ে থাকে । যেমন এক বছরের কন্যাকে পুজো করা হয় সন্ধ্যা রূপে, দুই বছরের মেয়েকে সরস্বতী, যার বয়স তিন তাকে ত্রিধামূর্তি রূপে, চার বছরের কন্যাকে কালিকা, পাঁচ বছরের কন্যাকে সুভগা, ছয় বছরের কন্যা উমা, সাত বছরের কন্যা মালিনী, আট বছরের কন্যা কুঞ্জিকা রূপে পূজিত হয় । যার বয়স নয় তাকে পুজো করা হয় কালসন্দর্ভা রূপে, দশ বছরের কন্যা অপরাজিতা, এগারো বছরের কন্যা রুদ্রাণী, বারো বছরের কন্যা ভৈরবী ও তেরো বছরের কন্যা মহালক্ষ্মী রূপে পুজো করা হয় ।
সর্বমঙ্গলা মন্দিরে কুমারী পুজোর জন্য তেরো বছর বয়স পর্যন্ত নয় জনকে বেছে নেওয়া হয় । তাদের বয়স অনুযায়ী মা দুর্গার সেই রূপে পুজো করা হয় । 1702 সালে বর্ধমানের মহারাজা কীর্তিচাঁদ দেবী সর্বমঙ্গলা মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন । কথিত আছে, বর্ধমানের বাহির সর্বমঙ্গলা এলাকায় তখন বেশিরভাগ জলাজমি ছিল, ছিল ধানক্ষেতও এবং এলাকায় অনেক পুকুর ঘাটও ছিল । ওই সব পুকুর ঘাটে মাছ গুগলি কাঁকড়া ধরা হত । এইভাবেই একদিন মাছ ধরতে গিয়ে একজনের জালে একটা শিলার মতো পাথর উঠে আসে । সেই পাথরের উপরেই চলতে থাকে গুগলি শামুক থেঁত করা ।