কেতুগ্রাম, 9 জুন :রেণু খাতুনের হাত কাটার ঘটনায় এবার গ্রেফতার দুই সুপারি কিলার (2 Supari killer arrests for cuts wrist of wife in ketugram) ৷ এর আগে এই ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে রেণুর শ্বশুর, শাশুড়ি ও স্বামী ৷
গোপনসূত্রে পুলিশ জানতে পারে আশরাফ আলি শেখ ও হাবির শেখ কেরালার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেবে। তারা দু'জনেই কেরালাতে শ্রমিকের কাজ করে। এরপরেই পুলিশ তাদের বাড়িতে হানা দেয়।
প্রসঙ্গত, যেহেতু স্ত্রী বেসরকারি হাসপাতালে নার্সের চাকরি করে তাই সে যদি সরকারি হাসপাতালে নার্সের চাকরি পেয়ে তাকে ছেড়ে চলে যেতে পারে, কিংবা তাকে যখন অন্য জায়গায় ট্রান্সফার করে দেওয়া হবে তখনও সে তার কাছ থেকে চলে যেতে পারে এরকম একটা আশঙ্কা চলছিল রেণু খাতুনের স্বামী শের মহম্মদের। এরপরই সে স্ত্রীর হাত কেটে দেওয়ার জন্য দুই সুপারি কিলার ভাড়া করেছিল।
আরও পড়ুন :পালিয়েও শেষরক্ষা হল না ! স্ত্রী'র কবজি কাটার ঘটনায় গ্রেফতার স্বামী
শের মহম্মদকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে ঘটনার দিন গভীর রাতে যখন তার স্ত্রী রেণু খাতুন কোজলসা গ্রামের বাড়িতে ঘুমাচ্ছিলেন তখন শের মহম্মদের বাড়িতে তার এক আত্মীয় ভাড়া করা দুষ্কৃতীদের পৌঁছে দেয়। বাড়িতে ডেকে এনে শের মহাম্মদ নিজেই দরজা খুলে ওই দুই দুষ্কৃতীকে ঘরের ভিতর ঢুকিয়ে নেয় ৷ সেখানে মদ্যপান করার পরে এক দুষ্কৃতী রেণু খাতুনের মুখে বালিশ চেপে ধরে। অপর দুষ্কৃতী তার পা চেপে ধরে। এই অবস্থায় রেণু বিছানায় ছটফট করতে শুরু করে। ফলে ধ্বস্তাধস্তিতে মুখের বালিশ সরতেই সে চিৎকার শুরু করে। সেই মুহূর্তেই তার মাথায় এক দুষ্কৃতী ভারী জিনিস দিয়ে আঘাত করে। ফলে রেণু জ্ঞান হারান।
এরপর শের মহম্মদ নিজে হাতুড়ি দিয়ে তাঁর ডান হাত থেঁতলে পরে টিন কাটার কাঁচি দিয়ে ওই হাতের কবজি কেটে দেয়। তার হাত আলাদা হয়ে যায়। জ্ঞান ফিরতেই রেণু চিৎকার করতে শুরু করে। সেই চিৎকার শুনে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে আসে। সেই সময় শের মহম্মদ ও ওই দুই দুষ্কৃতী পালিয়ে যায়। পুলিশ ওই দুই দুষ্কৃতী ও যে আত্মীয় দুষ্কৃতীদের বাড়িতে নিয়ে এসেছিল তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে ৷
আরও পড়ুন :নার্সের কবজি কাটার ঘটনায় গ্রেফতার শ্বশুর ও শাশুড়ি
পুলিশ জানতে পারে আশরাফ আলি শেখ ও হাবিব শেখ নামে দুই সুপারি কিলার কেরালায় শ্রমিকের কাজ করে। তারা কেরালায় পালিয়ে যাবে। এরপরেই পুলিশ তাদের মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের তালপুকুরের গ্রাম থেকে গ্রেফতার করে।