ক্ষীরপাই, 13 ডিসেম্বর : বড়দার মৃত্যু সংবাদ শুনে কলকাতা থেকে তড়িঘড়ি তাঁর বাড়িতে আসেন ছোট ভাই মহাদেব ৷ বউদির কথায় জানতে পারেন হার্ট অ্যাটাক করে বাথরুমে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে দাদা তপন ঘোষের ৷ বউদির কথা বিশ্বাস করে, দাদার মৃতদেহ শ্মশানে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত করছিলেন ৷ তখনই হঠাৎ নজরে আসে মৃতদেহের গলায় দড়ির দাগ (Unnatural Death in Khirpai) ৷ সন্দেহ হতেই ছোট ভাইঝিকে জিজ্ঞাসা করতে সত্যিটা সামনে আসে (Khirpai News) ৷
পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা টাউন থানার ক্ষীরপাই পৌরসভা এলাকার ঘটনা ৷ রবিবার রাতে পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের বামারিয়া এলাকার এক গৃহবধূ রূপালি ঘোষ স্থানীয়দের চিৎকার করে ডাকতে থাকেন ৷ বলেন তাঁর স্বামী হার্ট অ্যাটাকে বাথরুমে পড়ে গিয়েছেন ৷ চিৎকার শুনে স্থানীয় বাসিন্দারা গিয়ে দেখেন গৃহকর্তা তপন ঘোষ মৃত অবস্থায় বাথরুমে পড়ে রয়েছেন ৷ তপনবাবুর স্ত্রী রূপালির কথা মতো স্থানীয়রা মৃতদেহ সৎকারের ব্যবস্থা শুরু করেন ৷ খবর দেওয়া হয় আত্মীয়স্বজনদেরও ৷ সেই মতো বউদির মুখে দাদার মৃত্যু সংবাদ পেয়ে ছুটে আসেন ছোটভাই মহাদেব ঘোষ ৷
আরও পড়ুন :Pingla Child Murder : পরকীয়ায় কাঁটা, দু’বছরের মেয়েকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার মা ও তাঁর প্রেমিক
তাঁর কথায়, "আমাদের প্রথমে খবর দেওয়া হয় দাদা হার্ট অ্যাটাক হয়ে মারা গিয়েছে ৷ খবর পেয়ে তড়িঘড়ি এসে যখন মৃতদেহ শ্মশানে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত করছিলাম সেই সময় আমার চোখে পড়ে গলায় দড়ি দাগ রয়েছে । এরপর ছোট ভাইঝিকে চেপে ধরতেই সে সব কিছু গড়গড় করে বলতে শুরু করে । আমার বউদি এবং তার প্রেমিক যোগসাজশ ও পরিকল্পনা করে আমার দাদাকে মেরে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করছিল ৷ আমরা চাই দোষীদের ফাঁসি হোক । বাড়িতে ছোট ভাইঝি আর দাদা-বৌদি ছাড়া কেউ ছিল না ৷ তাই এই সুযোগেই বৌদি আমার দাদাকে মেরে ফেলেছে ৷"