পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

Dilapidated Anganwadi Centre: সাপ-ব্যাঙের স্বর্গরাজ্য, 80-রও বেশি পড়ুয়া থাকলেও জরাজীর্ণ অবস্থা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের

সাপ, ব্যাঙ ও পোকামাকড়ের স্বর্গরাজ্য ৷ ভাঙা ছাদ ৷ নেই পরিকাঠামো ৷ আশিরও বেশি পড়ুয়া থাকলেও বছরের পর বছর ধরে এমনই জরাজীর্ণ (Dilapidated Anganwadi Centre) অবস্থা দাসপুরের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের (West Midnapore News)৷

Dilapidated Anganwadi Centre ETV Bharat
জরাজীর্ণ অবস্থা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের

By

Published : Mar 27, 2023, 8:07 PM IST

আশিরও বেশি পড়ুয়া থাকলেও জরাজীর্ণ অবস্থা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের

দাসপুর, 27 মার্চ: বেহাল অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের অবস্থা ৷ আধ-ভাঙা চাল দিয়ে ঢুকছে রোদ । বর্ষা হলে ভেসে যায় সব জিনিসপত্র । ভগ্ন বিপজ্জনক এই কেন্দ্রে পড়ুয়া পাঠিয়ে আতঙ্কে থাকেন অভিভাবকরা । অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র (Anganwadi Centre is dilapidated state) থেকে জল আনতে যেতে হয় 500 মিটার দূরে । সেন্টার মেরামত করে সারিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন আধিকারিক (Dilapidated Anganwadi Centre)। তবে কবে হবে সেই কাজ, সেটাই প্রশ্নের ।

বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের (West Midnapore News) দাসপুর 2 ব্লকের অন্তর্গত খুকুড়দহ গ্রাম পঞ্চায়েতের জগন্নাথপুর পূর্ব 122 নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র ৷ নেই সঠিক পরিকাঠামো, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে ৷ বিষধর সাপ, ব্যাঙ থেকে শুরু করে নানা প্রজাতির পোকামাকড়ের বাস এখানে ৷ তারই মধ্যে চলছে শিশুদের শিক্ষাদান ও খাবার পরিবেশন ৷

জানা যায়, বাম আমলে নির্মিত এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটির পরিকাঠামোর জন্য প্রথম দিকে কিছু অর্থ ব্যয় হলেও তারপর থেকে দীর্ঘ 10 বছর একেবারে জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে । এই কেন্দ্রের উপরের ছাউনি অর্ধেক খোলা ৷ ফলে রোদও ঢকছে ৷ আবার বৃষ্টি হলেই জল প্রবেশ করে নষ্ট হচ্ছে মিড ডে মিলের চাল থেকে শুরু করে কেন্দ্রের মধ্যে থাকা যাবতীয় নথিপত্র ।

শুধু তাই নয়, এই কেন্দ্রে নেই কোনও পানীয় জলের ব্যবস্থা । প্রায় 500 মিটার দূর থেকে পানীয় জল নিয়ে এসে রান্না করতে হয় । পঠন পাঠনের দিক থেকে ওই সেন্টারের কর্মরত শিক্ষিকারা যথেষ্ট মনোনিবেশ করেন ৷ এমনটাই জানিয়েছেন, সেন্টারের আশিরও বেশি সুবিধেপ্রাপ্ত শিশুদের অভিভাবকরা । তবে সেন্টারের ভগ্নদশার কারণে তাঁরা আতঙ্কে থাকেন বলে জানালেন ৷ সেই জন্য সন্তানকে নিয়ে এসে বাড়ির কাজকর্ম ফেলে সেখানেই বসে থাকেন মায়েরা ৷

আরও পড়ুন:কুড়ি বছর ধরে চলছে যাযাবরের মতো, স্থায়ী ঠাঁই খুঁজছে বাণীপুরের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র

এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে কর্মরত শিক্ষিকা সুপ্রিয়া মাইতি জানান, "আমি ও আমার পূর্বে আরও দুই শিক্ষিকা বহুবার পঞ্চায়েত ও ব্লক স্তরে জানিয়েও কোন সুরাহা হয়নি । কিন্তু ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত আরও 7 থেকে 8টি সেন্টার রয়েছে, তাদের পরিকাঠামো এই সেন্টারের থেকে অনেকটাই উন্নত । তাই এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটির যাতে পরিকাঠামো ঠিক করা হয় সে জন্য আমি প্রশাসনের কাছে বারে বারে আবেদন রাখছি ৷"

এই বিষয়ে দাসপুর 2 ব্লকের বিডিও অনির্বাণ সাহু জানান, "বিষয়টি নিয়ে আমরা সরজমিনে তদন্ত করব এবং সেন্টারটি যাতে মেরামত বা নতুনভাবে করা যায়, শীঘ্রই তার ব্যবস্থা করা হবে ।"

ABOUT THE AUTHOR

...view details