মেদিনীপুর, 18 জুলাই : কোরোনার থাবা পশ্চিম মেদিনীপুরে । তবে, শুধু পরিযায়ী শ্রমিক নয়, জেলার বিভিন্ন প্রান্তের চিকিৎসক পুলিশকর্মীর পাশাপাশি খোদ BDO আক্রান্ত হচ্ছে কোরোনায় । ফলে ধীরে ধীরে বাড়ছে শহরের কনটেইনমেন্ট জ়োন ।
গতকাল রাতে খবর আসে চন্দ্রকোনা 1 নম্বরের BDO কোরোনা আক্রান্ত হয়েছেন । উপসর্গহীন হলেও তাকে শালবনি কোরোনা হাসপালে ভরতির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে । BDO সহ আক্রান্ত আরও 7 জন । ঘটনায় চন্দ্রকোনার BDO অফিসে স্যানিটাইজ়েশন করার পাশাপাশি এলাকাকে কনটেনমেন্ট জ়োন করেছে প্রশাসন । এলাকায় পরীক্ষা শুরু করেছে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর ও জেলা প্রশাসন ।
এর আগে পশ্চিম মেদিনীপুরে প্রতিদিন এক দু'জন করে কোরোনা সংক্রমণ ধরা পড়ছিল । বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রতিদিনে প্রায় 40 - 50 জনের কাছাকাছি ৷ এদের মধ্যে ডাক্তার, নার্স, জওয়ান, পুলিশের পাশাপাশি রয়েছে চন্দ্রকোনার ব্লক ডেভলপমেন্ট আধিকারিক । সম্প্রতি, রেলের জওয়ানের কোরোনা ধরা পড়ে ৷ ফলে পরিযায়ী শ্রমিকের পাশাপাশি আক্রান্ত হতে শুরু করেছে চিকিৎসক, চিকিৎসাকর্মী, পুলিশ ও প্রশাসক ।
গতকাল কোরোনা গ্রাফ চিত্রে দেখা যায় বেলদা থানার মান্নাইবাস্তুপুরা হেমচন্দ্র এলাকা থেকে জঙ্গলমহলের গুড়গুড়িপাল থানা এলাকার মালিয়াড়া আমড়াতলায় এবং অন্যদিকে খড়গপুর গ্রামীণ, চন্দ্রকোনা ডেবরা থানার বালিচক লাগোয়া এলাকায় ব্যাপক সংক্রমণের ছবি উঠে আসছে ৷ এইসব এলাকা ছাড়াও কোরোনায় আক্রান্ত হয়েছে খড়গপুরে এক মহিলাসহ নতুন করে তিনজন । একইভাবে মেদিনীপুর শহরে কোরোনা ধরা পড়েছে এক চিকিৎসক ও তার সন্তানসহ সরকারি বাসের কন্ডাক্টর । এর ফলে সেইসব এলাকাগুলো ঘিরতে শুরু করেছে পুলিশ প্রশাসন । ছোট ছোট করে কনটেনমেন্ট ভাগ করে কোরোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের সোয়াব টেস্টের পাশাপাশি চিকিৎসা করাতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে কোরোনা হাসপাতালে ।
এছাড়াও গত সপ্তাহ ও চলতি সপ্তাহ মিলিয়ে 4 জন চিকিৎসক , নার্স ও চিকিৎসাকর্মীর পাশাপাশি আক্রান্ত হয়েছেন বেলদার জোড়াগেড়িয়া ফাঁড়ির এক আধিকারিক । বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সেই ফাঁড়ি । এরপর সেখানে 41 জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয় । গতকাল সেই নমুনা থেকে আরও দু'জন কনস্টেবলের কোরোনা পজ়িটিভ পাওয়া যায় । দু'দিন আগে খড়গপুর সালুয়াতে সশস্ত্র সীমা বলের জওয়ান কোরোনায় আক্রান্ত হয়েছিল । বুধবার মেদিনীপুর থেকে স্থানান্তরিত হয়ে কেশিয়াড়িতে কাজে যোগ দেওয়া কমিউনিটি হেলথ অফিসার আক্রান্ত হয়েছেন । তিনি BDO অফিস থেকে মিনি মার্কেট ঘুরে বেরিয়েছেন বলে জানার পর সব মানুষ সোয়াব টেস্টের জন্য ভিড় শুরু করেছেন । আগামীদিনে কোরোনা সংক্রমণের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে আশঙ্কায় জেলাবাসী ৷