চন্দ্রকোনা, 5 নভেম্বর:প্রশাসনের উপর আস্থা হারিয়ে গ্রামের বাসিন্দারা নিজেরাই চাঁদা তুলে স্থানীয় শিলাবতী নদীর (Shilabati River) উপর বাঁশের সাঁকো (Bamboo Bridge) তৈরির কাজ শুরু করে দিলেন ৷ যা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা ৷ তৃণমূলকে বিঁধতে ছাড়েনি বিজেপি ৷ ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা-2 (Chandrakona) ব্লকের ভগবন্তপুর-2 গ্রাম পঞ্চায়েতের খুড়শি এলাকায় ৷ তবে, এই ঘটনা নতুন কিছু নয় ৷ গত কয়েক বছর ধরে এমনটাই হয়ে আসছে বলে অভিযোগ ৷
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকমাস আগেই বর্ষায় শিলাবতী নদীর জল ফুলেফেঁপে ওঠে ৷ ফলে নদী পারাপারের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকোটি ভেঙে যায় ৷ যার জেরে এখন কেবলমাত্র নৌকাতেই নদী পারাপার করতে হচ্ছে শিলাবতীর দুই পাড়ের বাসিন্দাদের ৷ দিনের ব্যস্ত সময় এতে সমস্যা হচ্ছে ৷ বাড়ছে দুর্ঘটনার আশংকা ৷ গ্রামবাসীদের অভিযোগ, প্রশাসন সব জেনেও নির্বিকার ৷ সমস্য়া সমাধানের কোনও চেষ্টাই তারা করেনি ৷ এই কারণেই খুড়শি এলাকার মানুষজন নিজেরা চাঁদা তুলে বাঁশ কিনে সাঁকো তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছেন ৷ যেমনটা করেন প্রতিবছর !
আরও পড়ুন:2 বছরে মাত্র দুটি পিলার! তড়িঘড়ি নির্মীয়মাণ সেতু পরিদর্শনে জেলাশাসক
ঘটনা নিয়ে ভুক্তভোগীদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে ৷ তাঁরা জানিয়েছেন, এই সাঁকোটি তৈরি করে দেওয়ার জন্য গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে ব্লক প্রশাসনকে একাধিকবার জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি ৷ ফলে একপ্রকার বাধ্য হয়েই স্বনির্ভর হতে হয়েছে গ্রামবাসীকে ! বাসিন্দারা ঠিক করেছেন, এবার থেকে সাঁকো পারাপারের জন্য টাকা নেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে ৷ তাহলে অন্তত বছর বছর এভাবে সাঁকো তৈরির সম্পূর্ণ খরচ তাঁদের বহন করতে হবে না ৷
শিলাবতীর উপর বাঁশের সাঁকো তৈরি করেন গ্রামের বাসিন্দারাই চন্দ্রকোনা উত্তর মণ্ডলের বিজেপি সভাপতি সুকান্ত দলুই এই প্রসঙ্গে বলেন, "বাম আমল থেকে শুরু করে তৃণমূল জমানা, কোনও সময়েই এই নদীর উপর একটি পাকা সেতু তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়নি ৷ খুড়শি এলাকার মানুষ প্রত্যেক বছরই নিজেদের উদ্যোগে সাঁকো তৈরি করেন ৷ সেই সাঁকো দিয়ে অসংখ্য মানুষ যাতায়াত করে ৷ পঞ্চায়েত নির্বাচনেই মানুষ এর জবাব দেবে ৷ মানুষকে ন্যূনতম পরিষেবা দিতেও ব্যর্থ তৃণমূল সরকার ৷" যদিও এ নিয়ে কার্যত দায় এড়িয়েছেন পঞ্চায়েত প্রধান ইসমাইল খান ৷