চন্দ্রকোনা, 5 জানুয়ারি: জাঁকিয়ে শীতের দেখা নেই, তার ওপর আবার মেঘলা আকাশ । এই পরিস্থিতিতে ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকছে চারপাশ । আর এমন আবহাওয়া আলু চাষের (Potato Cultivation) পক্ষে মোটেও ভালো না । এই ঘন কুয়াশা থেকেই আলু গাছে দেখা দিতে পারে ধসা-সহ বিভিন্ন ছত্রাক জাতীয় রোগ ও পোকার আক্রমণ ৷ এমনটাই আশঙ্কা করছেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনার আলু চাষিরা ।
আলু চাষের ক্ষেত্রে এমন বিরূপ আবহাওয়া দেখে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে চাষিদের ৷ তাই ধসা রোগের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে ইতিমধ্যে মাঠ জুড়ে চলছে কীটনাশক স্প্রে করার কাজ । আলু চাষিদের দাবি, এই ঘন কুয়াশা প্রায় এক সপ্তাহ ধরে চলছে,সঙ্গে রোদের দেখা নেই, রয়েছে মেঘলা আবহাওয়া । এই কুয়াশা ক্ষতি করবে আলু গাছে ৷ পচিয়ে দেবে পাতা ৷ তা থেকে গোটা গাছে পচন আসবে । পাশাপাশি আলু গাছে বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেবে ৷ আর এর মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিকর ধসা রোগ ৷ আবহাওয়া এরকম থাকলে খুব শীঘ্র দেখা গাছে ধরবে সেই রোগ ৷ তাতে আলু গাছ বাঁচিয়ে রাখা মুশকিল হয়ে পড়বে (Vagaries of nature badly affect Potato Cultivation) ।
চাষিদের আরও দাবি, এ বছর আলু বীজের দাম ছিল চড়া ৷ সঙ্গে রাসায়নিক সারও দ্বিগুণ দাম দিয়ে কিনে আলু গাছে ছড়াতে হয়েছে । বর্তমানে এই আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনার জেরে আলু গাছ বাঁচিয়ে রাখা বা ধসা রোগের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে অতিরিক্ত খরচ করে কীটনাশক স্প্রে করে যেতে হচ্ছে নিয়ম করে ৷ ফলে আলু চাষ করতে গিয়ে অতিরিক্ত খরচের বোঝা চাপছে তাদের ঘাড়ে ।
জেলার পাশাপাশি চন্দ্রকোনা, ঘাটাল ও দাসপুর জুড়ে অর্থকারী ফসল হিসাবে আলু চাষের রমরমা ৷ এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি । কিন্তু ধসা রোগের অনুকূল আবহাওয়া তৈরি হওয়ায় উদ্বিগ্ন মহকুমার আলু চাষিরা । ইতিমধ্যে চন্দ্রকোনার সীতানগর, ঢলবাঁধ, ফাঁসিডাঙ্গা ,পিয়ারডাঙ্গা বসনছোড়া-সহ বিভিন্ন এলাকায় মাঠে আলু গাছের বয়স 30 দিন অতিক্রম করেছে । বেশকিছু জমিতে আলু গাছ কুঁকড়ে গিয়েছে ৷ গাছের পাতা শুকিয়ে গিয়েছে ৷ আবার কোনও জমিতে গাছের বৃদ্ধি সঠিকভাবে হয়নি ।