মেদিনীপুর, 27 জানুয়ারি : অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ৷ আরও হাজারও সমস্যায় ধুঁকছে জেলার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলি ৷ কোথাও জলের সমস্যা, কোথাও আবার শৌচালয় নেই ৷ ক্ষোভ বাড়ছে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের মধ্যে । যদিও প্রশাসন আশ্বস্ত করছে, সমস্যা মিটবে ৷
পশ্চিম মেদিনীপুরে রয়েছে 6318টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র ৷ পরিষেবা পান প্রায় চার লাখ শিশু ও প্রসূতি ৷ যদিও কোরোনা পরিস্থিতিতে ভিড় কমেছে ৷ বর্তমানে শুকনো খাবার দেওয়া হচ্ছে উপভোক্তাদের ৷ আগে সাদা ভাতের সঙ্গে ডাল, একটা করে সিদ্ধ ডিম ও সয়াবিনের তরকারি দেওয়া হত ৷ এখন দেওয়া হচ্ছে দু'কেজি চাল, 300 গ্রাম ডাল ও ছোলা ৷ সঙ্গে কখনও কখনও ড্রাই ফ্রুট দেওয়া হচ্ছে । অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের অভিযোগ, কেন্দ্রে আসা চালের বস্তায় 7-10 কেজি চাল কম থাকছে ৷ সেন্টারে অনেক ক্ষেত্রে সঠিক সময়ে খাদ্য শস্য আসছে না বলেও অভিযোগ ৷ পশ্চিম মেদিনীপুরের অধিকাংশ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র রয়েছে ভাড়া বাড়িতে । সেখানে কাজের উপযুক্ত পরিবেশ নেই বলে অভিযোগ করছেন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা ৷ নোংরা আবর্জনা বাঁচিয়ে শিশু ও প্রসূতিদের জন্য খাবার রান্না করা কঠিন হয়ে উঠেছে ৷ কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ ৷
আরও পড়ুন: 14 দফা দাবি জানিয়ে নদিয়ার অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের বিক্ষোভ সমাবেশ
জেলার এক অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী শুক্লা ঘোষ বলেন, "আগে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কাঁচা সবজি রান্না করতে হত । কোরোনার কারণে সেই সমস্যা নেই ৷ নতুন সমস্যা, পরিমাণমতো জিনিস পাচ্ছি না । ফলে উপভোক্তাদের সঠিক পরিমাণ খাদ্য সামগ্রী দেওয়া যাচ্ছে না । এই বিষয়ে আমরা কর্তৃপক্ষকে জানালেও লাভ হয়নি ।"