পিংলা, 2 সেপ্টেম্বর: শুক্রবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলার পটুয়া পাড়া ও সবংয়ের মাদুরের গ্রাম সারতায় উপস্থিত হলেন ইউনেসকো'র প্রতিনিধি দল (UNESCO Visits Pingla)। এদিন পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক, মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভূঁইয়ার সঙ্গে উপস্থিত হন তাঁরা ৷ সুদূর ইউনেসকো থেকে উপস্থিত হয়েছিলেন জন সিভিস্টিয়েন কার্টিস। সঙ্গে ছিলেন চিরঞ্জিত গঙ্গোপাধ্যায় ৷
শাঁখ বাজিয়ে উলু দিয়ে প্রতিনিধি দলকে শুভেচ্ছা জানান নয়ার পটুয়া শিল্পীরা। সেখানে পটুয়া পাড়া পরিদর্শনের পাশাপাশি পটের গানও শোনেন ইউনেসকো'র প্রতিনিধিরা। তাঁরা সবংয়ের মাদুর শিল্পস্থলও পরিদর্শন করেন । পিংলা ও সবংয়ের মাটিতে ইউনেসকো'র প্রতিনিধিরা পা-রাখায় খুশি শিল্পীরাও। এ নিয়ে আশাবাদী রাজ্যের মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভূঁইয়াও।
পিংলার পটুয়া পাড়া ও সবংয়ের মাদুরের গ্রামে ইউনেসকো'র প্রতিনিধি দল ঘুরে জন সিভিস্টিয়েন কার্টিস জানান, প্রিন্টিং ও এখানকার সংস্কার খুব ভালো লেগেছে ৷ ছবির বিবরণ দিয়ে গান গাওয়া খুব পছন্দ হয়েছে। ইউনেসকো'র স্বীকৃতির ব্যাপারে উনি জানান, সিদ্ধান্ত একা তাঁর পক্ষে নেওয়া সম্ভব নয় । তাঁর জন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি যা দেখলেন তা উচ্চতর আধিকারিকদের জানিয়ে দেবেন।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলার পটুয়া পাড়া ও সবংয়ের মাদুরের গ্রাম সারতায় উপস্থিত হলেন ইউনেসকো'র প্রতিনিধি দল আরও পড়ুন:ইউনেসকো'র স্বীকৃতির কৃতিত্ব পেতে মরিয়া বিজেপিও, আসরে অমিত-দিলীপ-শুভেন্দু
উল্লেখ্য, পিংলার এই আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পট শিল্প-কে 'কালচারাল হেরিটেজ' হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি দীর্ঘদিনের। বৃহস্পতিবার বাংলার দুর্গাপুজাকে (Kolkata Durga Puja) 'হেরিটেজ' (Cultural Heritage) তকমা দেওয়ার খুশিতে কলকাতায় যে উৎসব পালিত হয়েছে, সেখানেই এসেছিলেন ইউনেসকো'র প্রতিনিধিরা। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে তাঁদের অনুরোধ করা হয়, পিংলার ঐতিহ্যমণ্ডিত ও সুপ্রসিদ্ধ পট চিত্রের সৃষ্টি শৈলি খতিয়ে দেখার জন্য। এরপরই, শুক্রবার তাঁরা পরিদর্শনে যান।