চন্দ্রকোণা, 30 এপ্রিল : ফেসবুকে বন্ধুত্ব । আর সেই বন্ধুত্বের টানেই ভারতে হাজির দুই বিদেশিনী । ঘটনাটি চন্দ্রকোণা রোড পুরসভার 1 নম্বর ওয়ার্ডের বকসরপুর এলাকার ।
বন্ধুত্বের টানে ভারতে হাজির দুই বিদেশিনী
চারবছর আগে ফেসবুকে দেবযানীর সাথে আলাপ হয়েছিল থাইল্যান্ডের প্রনম পিমুব (45) ও সুচুচিপ কৃটস্নাপ্যাক্সডির (40) । আর সেই বন্ধুত্বের টানে ভারতে হাজির দুই বিদেশিনী ।
চারবছর আগে ফেসবুকে পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দা দেবযানী অধিকারীর সাথে থাইল্যান্ডের ওয়াংওয়াং-এর বাসিন্দা প্রনম পিমুব (45) ও সুচুচিপ কৃটস্নাপ্যাক্সডির (40) বন্ধুত্ব হয় । বন্ধুত্ব হওয়ার পর দুই বিদেশিনী ভারতবর্ষে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেন । তাঁরা জানান, তাঁরা ভারতবর্ষকে দেখতে চান । ভারত থেকে থাইল্যান্ডে যাওয়ার জন্য আমন্ত্রণও জানান দেবযানী অধিকারী ও তাঁর স্বামী মানিক অধিকারীকে । কিন্তু মানিকবাবু পেশায় মোবাইল মেকানিক হওয়ায় আর্থিক অবস্থা ভালো নয় তাঁদের । তাই প্রনম ও সুচুচিপ দেবযানী ও মানিকবাবুর থাইল্যান্ডে যাওয়ার সমস্ত খরচা বহন করেন । আর তারপরই মাস কয়েক আগে থাইল্যান্ডের উদ্দেশে বন্ধুদের বাড়ি যান মানিকবাবু । কিন্তু দেবযানীর ভিসা বাতিল হয়ে যাওয়ায় তিনি যেতে পারেননি । তাই দেবযানীকে দেখার জন্য ও ভারতবর্ষ ঘুরতে থাইল্যান্ডের দুই বান্ধবী আসেন চন্দ্রকোণায় ।
এরা কেউ কারও কথা বোঝেনা, কেউ কারও ভাষা জানেন না । তাই সবই চলছে আকার ইঙ্গিতে । একমাত্র পথ মোবাইল অ্যাপ । দুই বান্ধবী যখন তাঁদের ভাষায় কথা বলছেন, তখন তাঁদের বান্ধবী ও তাঁর স্বামী কথা বলছে বাংলা ভাষায় । আর এই ভাষা সমস্যাকে সমস্যা বলে মানতে চান না ভিন দুই দেশের মানুষেরা । কারণ তাঁরা বলেন, "ভাষা বুঝি না তো কী হয়েছে একে অপরের অন্তরের কথাটা তো বুঝতে পারছি ।" বিদেশি বান্ধবীদের পেয়ে উচ্ছ্বস্বিত অধিকারী পরিবার । আর ভিনদেশি এই অতিথিদের দেখতে ভিড় জমছে অধিকারী বাড়িতে ।