গড়বেতা,11 এপ্রিল : কোরোনার জেরে 21 দিন ধরে লকডাউন দেশে । অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ছাড়া বন্ধ সমস্ত পরিবহন পরিষেবা । নানা পার্কিংয়ে কোটি কোটি টাকার মাল নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে ট্রাকগুলি । সমস্যায় পরিবহন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত কয়েক হাজার চালক, খালাসি,গাড়ির মালিক, ট্রান্সপোর্টার ,গ্যারেজের মেকানিক । এই পরিস্থিতিতে দু'বেলা দু'মুঠো খাবার জোগাতে পারছেন না তাঁরা । পরিবারের মুখেও অন্ন তুলে দিতে পারছেন না । শুধু এরাজ্যেরই নয়, লকডাউনে আটকে পড়া বাকি রাজ্যের চালক, খালাসিদেরও একই অবস্থা । রাস্তায় খাবার দোকান বন্ধ, রেস্তরাঁ বন্ধ, রান্না করবেন কোথায়, কী দিয়ে কেউ জানেন না । এই পরিস্থিতিতে প্রশাসনের কাছে সাহায্যের আর্জি জানাচ্ছেন সকলে ।
আজ লকডাউনের 18 নম্বর দিন । লকডাউনের জেরে সবথেকে বেশি সমস্যায় দিন আনা দিন খাওয়া মানুষজন । আয় নেই । 18 দিন বিনা রোজগারে সঞ্চয়ও প্রায় শেষ । ফলে একবেলা খেয়ে বা দু'দিনে একবার খেয়ে দিন কাটছে তাঁদের । এই দিন আনা দিন খাওয়া মানুষগুলোর মতোই অবস্থা রাজ্যের পরিবহন পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত মানুষদের । তাঁরাও আয়ের অভাবে, কেউ বাড়ি ফিরতে না পেরে কোনওমতে অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছেন । পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবচেয়ে বেশি আমদানি- রপ্তানি হয় চন্দ্রকোনা ও গড়বেতা এলাকায় । বিশেষ করে জেলার আলু, ধান সহ একাধিক কৃষিজ ফসলের আমদানি হয় এখান থেকেই । প্রতিদিন কয়েক হাজার এরাজ্যের ও ভিন রাজ্যের গাড়ি আসে এখানে । চলে লোডিংয়ের কাজ, হিসাবের কাজ । কিন্তু বর্তমানে এই এলাকায় শুধুই দাঁড়িয়ে রয়েছে সারি সারি ট্রাক । নেই পণ্য । এলাকার চিত্রটা একদম আলাদা ।
উত্তরপ্রদেশ থেকে রসুন নিয়ে এরাজ্যে এসেছিলেন ট্রাক চালক অজয় রায় । তিনি বলেন, "সব বন্ধ । হোটেল, ধাবা, রেস্তরাঁ । খাবার মিলছে না । আমরা খাব কী ? কোথায় যাব জানি না । রোজ খাবারের দুশ্চিন্তায় আমরা অস্থির হয়ে উঠছি । আতঙ্কে আছি । কেউ যদি আমাদের সাহায্য করে তাহলে খুব ভালো হয় । তাছাড়া পরিবারের সদস্যরা রয়েছে সেই রাজ্যে, তাদের জন্যও চিন্তা হচ্ছে । খুব সমস্যায় রয়েছি ।"