খড়গপুর, 21 ফেব্রুয়ারি:পরিবারের দাবির্যাগিংয়ের কারণেই মৃত্যু হয়েছিল আইআইটি খড়গপুর (IIT Kharagpur) মেধাবী ছাত্রের (Town Police has filed a case against 7 people) । মাত্র 23 বছর বয়সেই মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ফাইজান আহমেদকে পৃথিবী ছাড়তে হয় । সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা'র এজলাসে এই মামলার শুনানি হয় ৷ আইআইটি খড়্গপুরের 5 পড়ুয়া-সহ 7 জনের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা (Suo Motu) রুজু করে তদন্ত শুরু করল খড়্গপুর টাউন থানা।
প্রসঙ্গত, খড়গপুর আইআইটির মেকানিক্যাল ছাত্র ফাইজান আহমেদের মৃত্যু নিয়ে সোমবার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রসঙ্গেই ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ একে গুপ্তের মতামত জানতে চেয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্ট এর বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা । উল্লেখ্য যে, এর আগে জেলা পুলিশ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট উল্লেখ করে জানিয়েছিল, ওই ছাত্র আত্মহত্যাই করেছেন । এই রিপোর্ট নিয়ে কোনও মতামত না-দিলেও তা নিয়ে সন্দিহান বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা । তাঁর নির্দেশ, এই মামলার যাবতীয় নথি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক একে গুপ্তর কাছে পাঠাতে হবে ।
এদিকে, আইআইটি-র ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই মৃত্যুতে প্রতিষ্ঠানের কোনও দায় নেই । তাদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়েরের যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তোলে আইআইটি । বলা হয়, ফাইজান আহমেদ নামে ওই ছাত্র গরমের ছুটিতে বাড়িতে না-গিয়ে হস্টেলেই ছিলেন । 70টি জায়গায় আবেদন করার পরেও কোথাও চাকরি পাননি তিনি । অথচ তাঁর বন্ধুরা চাকরি পেয়ে গিয়েছেন । এই অবসাদেই তিনি ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যা করেন । কোনও মারামারির ঘটনা ঘটেনি ।
আরও পড়ুন:খড়গপুর আইআইটির ছাত্রের রহস্যমৃত্যুতে 20 ফেব্রুয়ারি পুলিশ চূড়ান্ত রিপোর্ট পেশের নির্দেশ হাইকোর্টের
এরপরই বিচারপতি বলেন, "এখন আর একবারের ময়নাতদন্তে ভরসা করা যাচ্ছে না । রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ও জানান, র্যাগিংয়ের ঘটনায় আইআইটি কর্তৃপক্ষ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি । এরপরই, খড়গপুর টাউন থানার তরফে সুনির্দিষ্ট ধারায় (Indian Penal Code and the West Bengal Prohibition of Ragging in Educational institution Act 2000) মামলা রুজু করা হয় 7 জনের বিরুদ্ধে ।" উল্লেখ্য যে, গত 14 অক্টোবর (2022) আইআইটি খড়গপুরের লালা লাজপত রায় হস্টেল থেকে ফাইজানের দেহ উদ্ধার করেছিল খড়্গপুর টাউন থানার পুলিশ ।