দাঁতন, 7 জুলাই : পঞ্চাশোর্ধ অবন্তী জানা ৷ নিজের বাড়িতেই বানিয়েছেন কাগজের গ্রন্থাগার । এই গ্রন্থাগারে রয়েছে ভিন্ন স্বাদের পুরনো দিনের বহুচর্চিত সংবাদপত্র । সংবাদপত্র সংরক্ষণ করা একরকম নেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে অবন্তীবাবুর । সংবাদপত্রের মূল্য বর্তমান প্রজন্মকে বোঝানোই তাঁর এই গ্রন্থাগারের উদ্দেশ্য ।
ওড়িশা ঘেঁষা পঞ্চাশ বছরের একটি পুরনো বাড়ি । পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনের সীমান্ত এলাকায় বাইপাটনা গ্রামের বাসিন্দা হলেন অবন্তী জানা । নিজের ঘরটিকে বানিয়েছেন একটি নার্সারি স্কুল ৷ সবুজে ঘেরা এই বাড়িতে রয়েছে আস্ত একটা গ্রন্থাগার ৷ সঙ্গে পুরনো ম্যাগাজিন ও বিভিন্ন ভাষার পুরনো থেকে নতুন সংবাদপত্র । হঠাৎ কেন এই সংবাদপত্র সংরক্ষণের নেশা ? জানতে চাওয়ায় পুরনো দিনে ফিরে গেলেন অবন্তীবাবু ৷
উচ্চমাধ্যমিক পড়ার সময় থেকেই সংবাদপত্র এবং ম্যাগাজিন সংরক্ষণ করার বিষয়টি মাথায় আসে অবন্তীবাবুর । 1982 সাল থেকে লেগে পড়েন সংবাদপত্র ও ম্যাগাজিন সংগ্রহে ৷ প্রতিদিনের পুরনো সংবাদপত্র থেকে নতুন প্রায় সব সংখ্যার বিভিন্ন ম্যাগাজিন, কী নেই তাঁর গ্রন্থাগারে ৷
স্নাতকোত্তর পাশ করার পর বাবার ব্যবসা সামলাতেন অবন্তীবাবু । তখন থেকেই বাংলা-ওড়িশা সীমান্তের ইতিহাস চর্চা থেকে বিভিন্ন রচনাবলী ও পুরনো বই কিনে তা পড়ার পাশাপশি সংরক্ষণও করতে শুরু করেন । অবন্তীবাবু ও তাঁর সহধর্মিনী দুজনের প্রচেষ্টাতেই বাড়িতে তৈরি করেছেন স্কুল ৷ এলাকার ছাত্রছাত্রীদের সংবাদপত্র পড়ার নেশা ও বইয়ের প্রতি ঝোঁক বাড়াতে তাঁর এই উদ্যোগ ৷ তাঁর বাড়িতে এসে বই ও সংবাদপত্র পড়ার জন্য আবেদনও করেন এলাকার ছেলে-মেয়েদের । যেখানে বর্তমান যুগে সকালের টাটকা খবরের কাগজ বিকেলে ঠোঙা বানানোর কাজে লাগে, সেখানে পঞ্চাশোর্ধ্ব অবন্তীবাবুই বুঝিয়েছেন সংবাদপত্রের গুরুত্ব ।