নারায়ণগড় 24 ফেব্রুয়ারি : নব্য ও আদি তৃণমূলের দ্বন্দ্ব থামার লক্ষণ নেই ৷ দলের এই অন্তরক্ষরণ সারাবার জন্য দলনেত্রী বারবার নির্দেশ দিয়েছেন ৷ দলের শীর্ষ নেতৃত্ব গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটাতে কম অ্যাড্রিনালিন ক্ষরণ করেনি ৷ কিন্তু কে আর শুনছে কার কথা ! নারায়ণগড় মকরামপুরে নব্য ও আদি তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ ঘটনা সামনে আসতেই আবার চাপ বাড়ল দলীয় নেতৃত্বের উপরে ৷ এই সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু হলো, গুরুতর জখম 3 জন ৷ খুব স্বাভাবিক ভাবেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। ভোটের আগে পশ্চিম মেদিনীপুরে এই ঘটনা দলকে আরও অস্বস্তিতে ফেলবে ৷ যদিও এই সংঘর্ষের কথা স্বাকার করতে রাজি নয় স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূলের সাফাই, এই ঘটনা ঘটিয়েছে বিজেপি দুষ্কৃতীরাই ৷ বিজেপিও তাদের উপরে ওঠা অভিযোগ ঝেড়ে ফেলে বলে, এই ঘটনা তৃণমূলেরই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল।
তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে বোমাবাজি ও গুলি চালানোর অভিযোগ, নিহত 1 - গোষ্ঠী সংঘর্ষে বোমাবাজি ও গুলি চালানোর অভিযোগ
নারায়ণগড় মকরামপুরে নব্য ও আদি তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ ৷ এই ঘটনায় একজনের মৃত্যু হল, গুরুতর জখম 3 জন ৷
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ে মকরামপুরের কাছে অভিরামপুরে মঙ্গলবার তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলই এই সংঘর্ষের কারণ ৷ তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বোমাবাজি ও গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হন এক তৃণমূলকর্মী ৷ নাম সৌভিক দোলুই। বোমার আঘাতে আহত হন আরও তিন জন তৃণমূল কর্মী। আহত কর্মী সমর্থকদেরকে খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাদেরকে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। সূত্র অনুযায়ী মকরামপুরে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত লক্ষীকান্ত সিট বলে বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতাকেই দলে আবার দায়িত্ব দেওয়া হয় । তারপরেই মঙ্গলবার এই ঘটনা ঘটে ৷ যাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠল পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ের মকরামপুর এলাকা। যদিও এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে অভিযুক্ত লক্ষীকান্ত সিট -এর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারা যায়নি।আহতরা জানিয়েছেন তাঁরা প্রত্যেকেই তৃণমূল কর্মী সমর্থক।যদিও রাজনৈতিক সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ তৃণমুল কর্মী সৌভিক দোলুইকে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিত্সক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন :আব্বাসের সঙ্গে বিরোধ মেটাতে প্রদেশ কংগ্রেসকে নির্দেশ সোনিয়ার
এ বিষয়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মানতে নারাজ তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, "এটা সম্পূর্ণভাবে বিজেপির চক্রান্ত।এর আগেও এরকম ঘটনা ঘটেছে।গতকাল মঙ্গলবারও পেছন থেকে গুলি করে মেরেছে আমাদের কর্মী-সমর্থককে ওই বিজেপিরা। পুলিশকে বলব এর উপযুক্ত তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার জন্য।" অপরদিকে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি জেলার সভাপতি সমিত দাস। তিনি বলেন এই ঘটনা সম্পূর্ণ তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বর ফল। দুই দাদার মধ্যে লড়াই তোলাবাজি ও কাঠ মানি নিয়ে।বিগত দিনে এই ঘটনা ঘটেছে। কালকেও এ ঘটনা ঘটেছে এটা নতুন নয়। মূলত দুই দাদার মধ্যে গণ্ডগোলের কর্মী-সমর্থকদের প্রাণ যাচ্ছে।পুলিশকে বলবো সঠিক তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দেওয়ার।