দাসপুর, 28 জুন: ভাগাভাগি করে পঞ্চায়েত চালানোর পাঁচ বছর শেষ ৷ এবার কৃতিত্ব দাবি করে ময়দানে নেমে পড়েছে তৃণমূল ও সিপিএম ৷ দুই পক্ষই আর ভাগাভাগির পঞ্চায়েত চাইছে না ৷ বরং একার জোরে ক্ষমতা দখল করতে মরিয়া তারা ৷ তাদের এই লড়াইয়ে একমাত্র কাঁটা বিজেপি ৷ কারণ, তারাও সেখানে এবার জিততে বদ্ধপরিকর ৷
তৃণমূল-সিপিএমের পঞ্চায়েত: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর-2 ব্লকের খেপুত গ্রাম পঞ্চায়েত । সেখানেই 2018 সাল থেকে ভাগাভাগি করে প্রশাসন চালিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস ও সিপিএম ৷ প্রধান ছিল তৃণমূলের আর উপ-প্রধান ছিল সিপিএমের ৷ যদিও রাজ্য রাজনীতির যুযুধান এই দুইপক্ষের মধ্যে কোনও জোট ছিল না ৷ তবে সাংবিধানিক বাধ্য়বাধকতায় তাদের হাত মেলাতে হয়েছিল ৷
ওই গ্রাম পঞ্চায়েতে 10টি আসন ৷ বোর্ড গড়তে হলে ছ’টি আসনে জয় জরুরি ৷ কিন্তু খেপুতের ভোটাররা দুই দলকেই সমান আসনে জেতান ৷ তৃণমূল ও সিপিএম, উভয়ই 5টি করে আসনে জেতে ৷ শেষ পর্যন্ত টস করে প্রধান ও উপ-প্রধান বেছে নেওয়া হয় ৷ সেখানেও বিপত্তি হয়৷ প্রধান পদ পায় তৃণমূল কংগ্রেস ৷ আর সিপিএম পায় উপ-প্রধানে পদ ৷ প্রধান পদে বসেন তৃণমূলের চন্দনা বেরা সাঁতরা ৷ আর উপ-প্রধান হন সিপিএমের সৈয়দ হাসিনুর রহমান ৷
তার পরের পাঁচ বছর তৃণমূল ও সিপিএম বোর্ড চালিয়েছে ৷ যৌথ উদ্যোগে এলাকায় উন্নয়ন হয়েছে বলেও দাবি দু’পক্ষের ৷ বিদায়ী পঞ্চায়েত প্রধান তৃণমূলের চন্দনা বেরা সাঁতরা বলেন, ‘‘আমরা ভিন্ন দলের হতে পারি ৷ কিন্তু আমরা এলাকায় উন্নয়ন করেছি এবং তাতে মানুষ খুশি । এবারও চাইব যেই দলই আসুক তাদের যেন আসল উদ্দেশ্যই থাকে এলাকার উন্নয়ন । সে ক্ষেত্রে ভিন্ন রাজনৈতিক দল কোনও ফ্যাক্টর নয় ।’’ অন্যদিকে বিদায়ী উপ-প্রধান সিপিএমের সৈয়দ হাসিনুর রহমান বলেন, ‘‘গত 5 বছর ধরেই আমরা শাসক দল তৃণমূলের সঙ্গেই প্রধান ও উপ-প্রধান হয়ে এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে কাজ করেছি ।’’