মেদিনীপুর, 23 অগাস্ট : কোরোনা সংক্রমণের নিরিখে রাজ্যে সংক্রমণের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী ৷ জেলায় জেলায় কোরোনা পরিস্থিতি ক্রমশ জটিলতর হচ্ছে ৷ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাও তার ব্যতিক্রম নয় ৷ বিশেষত খড়্গপুর, মেদিনীপুর, ঘাটাল, কেশিয়াড়িসহ বিভিন্ন জায়গায় আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ৷ এই অবস্থায় জেলার COVID হাসপাতালের পরিকাঠামো খতিয়ে দেখতে আসে রাজ্যের COVID-19 স্পেশাল প্রতিনিধি দল ৷ গতকাল জেলার 2 টি COVID হাসপাতাল পরিদর্শন করে ৷ এর সঙ্গে ব্লকস্তরের কোয়ারানটিন সেন্টারগুলিও পরিদর্শন করে ৷ সবশেষে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে বৈঠক সারে রাজ্যের ওই প্রতিনিধি দল ৷
জেলায় ফাল্গুনী ও আউশ 2টি COVID হাসপাতাল রয়েছে ৷ এছাড়া প্রতি ব্লকে কোয়ারানটিন সেন্টার রয়েছে ৷ জেলায় এখনও পর্যন্ত 9টি সেফহোম রয়েছে ৷ পরিদর্শনের আগে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিমাইচন্দ্র মণ্ডল, মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ পঞ্চানন কুণ্ডু সহ একাধিক আধিকারিকের সঙ্গে বেঠক সারে COVID-19 স্পেশাল প্রতিনিধি দল ৷ কোরোনা পরিস্থিতি কীভাবে নিয়ন্ত্রণে আনা যায় সে ব্যাপারে আলোচনা হয় ৷
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে প্রতিনিধি দলের সদস্য গোপাল কৃষ্ণ ঢালী এবিষয়ে বলেন, "জেলার কোরোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আমরা এখানে এসেছি ৷ বৈঠকের পর আমরা জেলার COVID হাসপাতাল, সেফহোম এবং কোয়ারানটিন সেন্টারগুলি পরিদর্শন করেছি ৷ এই পরিস্থিতিতে মেডিকেল কলেজের উপর চাপ বাড়ছে ৷ যাদের উপসর্গ নেই তাদের জন্য পরিস্থিতি জটিলতর হয়ে উঠেছে ৷ তাদের নির্ধারণ করাই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে ৷ জেলার প্রতিনিধিদের কোরোনা সংক্রান্ত ব্যাপারে সচেতনতা মূলক বার্তা প্রচার করতে হবে ৷ এছাড়া, জেলায় নতুন করে কোভিড হাসপাতালে আরও একটি হাসপাতাল গড়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে ৷"
রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের সর্বশেষ বুলেটিন অনুযায়ী, গতকাল পর্যন্ত পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা 2929 জন ৷ এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেছে 2028 জন ৷ মৃত্যু হয়েছে 53 জনের ৷ দৈনিক আক্রান্তদের মধ্যে যাদের উপসর্গ রয়েছে তাদের কোভিড হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠান হচ্ছে ৷ আর যাদের উপসর্গ নেই তাদের সেফ হোম, কোয়ারানটিন সেন্টার, হোম আইসোলেশনে থাকার পরামর্শ দিয়েছে ৷ তাদের নজরে রাখছেন স্বাস্থ্য কর্মীরা ৷