চন্দ্রকোনা,25 এপ্রিল : লকডাউনে বন্ধ দোকানপাট,বন্ধ অনুষ্ঠান ঘর।তাই পেটের অন্ন জোগাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চন্দ্রকোনার কুঁয়াপুরের কয়েকটি পরিবারের । শালপাতা দিয়ে থালা,বাটি তৈরি করে দোকানে বিক্রি করেন তাঁরা । শালপাতা দিয়ে তৈরি এইসব জিনিস বিক্রি করেই জীবিকা চালান প্রায় 30-40 টি পরিবার ।কিন্তু লকডাউনে দোকানপাট বন্ধ থাকায় খুব মুশকিলে পড়েছেন তাঁরা । এইভাবে চলতে থাকলে না খেতে পেয়ে মরতে হবে বলে অভিযোগ তাঁদের।
লক ডাউনে বন্ধ রয়েছে অনুষ্ঠান বাড়ি।বিশেষ করে বিয়ে বাড়ি,অন্নপ্রাশন,বিভিন্ন ধরনের পার্টি বন্ধ রাখা হয়েছে। আর বন্ধ রাখা হয়েছে সমস্ত রকমের দোকানপাট।শুধু নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ছাড়া সবই একপ্রকার বন্ধের মুখে।আর সবকিছু বন্ধ থাকায় সমস্যায় পড়েছেন চন্দ্রকোনার দু নম্বর ব্লক কুঁয়াপুরের 30-40টি পরিবার। চন্দ্রকোনার রামগড় ধামকুড়িয়া গ্রামের 30-40 টি পরিবারের একমাত্র রুজি-রোজগার জঙ্গল থেকে শালপাতা সংগ্রহ করে তা দিয়ে থালা বাটি তৈরি করা। আর সেই শালপাতার থালা বাটি তৈরি করে স্থানীয় দোকানে বিক্রি করে দিন চলে এইসব গরিব মানুষদের। কিন্তু এই মহামারী সংক্রমণে দীর্ঘ লকডাউনে তাঁদের জীবন-জীবিকার উপর ছেদ পড়েছে।
দোকান বন্ধ, বিক্রি নেই শালপাতার থালা-বাটির, আশঙ্কায় কারিগররা
লক ডাউনে বন্ধ রয়েছে অনুষ্ঠান বাড়ি।বিশেষ করে বিয়ে বাড়ি,অন্নপ্রাশন,বিভিন্ন ধরনের পার্টি বন্ধ রাখা হয়েছে। আর বন্ধ রাখা হয়েছে সমস্ত রকমের দোকানপাট।শুধু নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ছাড়া সবই একপ্রকার বন্ধের মুখে।আর সবকিছু বন্ধ থাকায় সমস্যায় পড়েছেন চন্দ্রকোনার দু নম্বর ব্লক কুঁয়াপুরের 30-40টি পরিবার। চন্দ্রকোনার রামগড় ধামকুড়িয়া গ্রামের 30-40 টি পরিবারের একমাত্র রুজি-রোজগার জঙ্গল থেকে শালপাতা সংগ্রহ করেতা দিয়ে থালা বাটি তৈরি করা। আর সেই শালপাতার থালা বাটি তৈরি করে স্থানীয় দোকানে বিক্রি করে দিন চলে এইসব গরিব মানুষদের।এইভাবেই তাদের জীবন-জীবিকা চলছিল।কিন্তু এই মহামারী সংক্রমণে দীর্ঘ লকডাউনে তাঁদের জীবন-জীবিকার উপর ছেদ পড়েছে।
বন্ধ রয়েছে সমস্ত রকমের অনুষ্ঠানবাড়ি। ফলে তাঁদের থালা,বাটি আর কেউ কিনছেন না। সরকারি সাহায্য বলতে তাঁদের কপালে জুটেছে রেশনের চাল আর আটা। বাকি খাদ্য দ্রব্য সমস্ত কিছু প্রায় শেষের মুখে। এই অবস্থায় তাঁদের আতঙ্ক আরও চেপে বসেছে।
শালপাতা কারিগর রেখা বেরা বলেন," আমাদের প্রধান জীবিকা হল এই শালপাতা জঙ্গল থেকে সংগ্রহ করে তা দিয়ে থালা বাটি গ্লাস বানিয়ে বিক্রি করা।এখন সব বন্ধ পুরোপুরি। এখন জীবিকা আর নেই। সাহায্য যেটুকু জুটেছে তা রেশনের চাল আর আটা।আমরা আশঙ্কায়, আছি আগামী দিনে আমাদের চলবে কী করে।"
মিনতি সরেন বলেন," এক দিকে লকডাউন ৷ অপর দিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগে আমরা শালপাতা আনতে যেতে পারছি না জঙ্গলে। প্রতিদিন বিকেল হলে ঝড় জল হচ্ছে। এতে আমরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি । আগামী দিনে পরিবার-পরিজনদের মুখে কীভাবে দুমুঠো খাবার তুলে দেব সেই চিন্তায় ঘুম উড়ে গেছে।"এই অবস্থায় সাহায্যের জন্য সরকারের এগিয়ে আসা উচিত বলেই দাবি জানাচ্ছেন তাঁরা ।