চারচাকা গাড়ির ধাক্কায় খড়গপুরে পুলিশ কর্মীর মৃত্যু খড়গপুর, 5 অগস্ট:বেপরোয় গতিতে আসা বিলাসবহুল গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হল এক পুলিশ কর্মী-সহ দু'জনের ৷ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ছ'জন ৷ ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার গভীর রাতে দিঘা-খড়গপুর ওড়িশা ট্রাঙ্ক রোডে । মৃতের নাম রামানন্দ দে(45) ৷ তিনি খড়গপুর গ্রামীণ থানার অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর পদে কর্মরত ছিলেন ৷ তাঁর বাড়ি বাঁকুড়ার তালডাংড়ায়। এছাড়াও দুর্ঘটনায় প্রাণ গিয়েছে শেখ জাহাঙ্গীর খানের(35) ৷ পেশায় ডেকোরেটরের ব্যবসায়ী ছিলেন তিনি ৷ জাহাঙ্গীর খড়গপুর শহরের পাঁচবেড়িয়ার বাসিন্দা ।
জানা গিয়েছে, প্রথমে টহলরত পুলিশ আধিকারিককে ধাক্কা মারে চারচাকা গাড়িটি । তারপরেই গাড়িটি গিয়ে রেল গেটে ধাক্কা মেরে ঝুপড়িতে ঢুকে পড়ে । ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই পুলিশ আধিকারিকের ৷ পাশাপাশি মৃত্যু হয় চারচাকা গাড়িতে থাকা সওয়ারি জাহাঙ্গীর খানের । এই ঘটনায় আহতের মধ্যে দু'জনের অবস্থা আশংকাজনক । তাঁরা সকলে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৷ মৃতদের দেহগুলি খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে ।
সূত্রের খবর, মকরামপুরের একটি ধাবায় খাওয়াদাওয়া করে ওই গাড়িতে করে ফিরছিলেন জাহাঙ্গীর ও তাঁর সঙ্গীরা । জাহাঙ্গীরের সঙ্গে ওই গাড়িতে ছিলেন ইন্দার অভিষেক শ্রীবাস্তব, সুজিত রায়, ঝাপেটাপুরের প্রদীপ দাস ও পুরাতন বাজারের চন্দনকুমার দাস ৷ তাঁরা ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন । স্থানীয় বিশ্বব্রত মিশ্র বলেন, "গভীর রাতে একটি গাড়ি দ্রুতগতিতে ছুটে এসে পুলিশ আধিকারিককে ধাক্কা মেরেছে । এ সময় পেট্রোলিংয়ে ছিলেন ওই পুলিশ আধিকারিক । তাঁকে ধাক্কা মারায় তাঁর ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় । এরপরই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রেল গেটের ধাক্কা মেরে গাড়িটি ঝুপড়িতে ঢুকে পড়ে । আর তাতেই গাড়ির ভিতরে থাকা একজনের মৃত্যু হয় ৷"
আরও পড়ুন:পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু পড়ুয়ার, মৃতদেহ আটকে বিক্ষোভ বেহালায়
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গভীর রাতে বেনাপুর রেলগেটের কাছে টহলরত পুলিশের ভ্যান থেকে নেমে ওড়িশা ট্রাঙ্ক রোডে দাঁড়িয়ে ছিলেন কর্তব্যরত রামানন্দ দে ৷ গাড়িতে ছিলেন অন্য পুলিশকর্মীরা । সেই সময় খড়গপুর অভিমুখে থাকা একটি গাড়ি দ্রুতগতিতে এসে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা ওই পুলিশ আধিকারিককে ধাক্কা মারে । তাতে ছিটকে যান রামানন্দ । এরপরেই গাড়িটি রেলগেটের সিগন্যাল পোস্টে ধাক্কা মেরে বাঁ-দিকে থাকা একটি ঝুপড়ির চা-দোকানে ঢুকে যায় । মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনার সাক্ষী পুলিশকর্মীরা দ্রুত ছুটে এসে রামানন্দকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় । এরপরে দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া গাড়ি থেকে জখমদের বের করতে চলে উদ্ধারকাজ । ছুটে আসে স্থানীয় বাসিন্দারাও । স্থানীয়দের সহযোগিতায় একে-একে গাড়ি থেকে ছ'জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয় । তবে রামানন্দ ও জাহাঙ্গীরকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা ।