বেলদা, 19 সেপ্টেম্বর : যুদ্ধবিমানের ওঠা-নামার জন্য আপৎকালীন রানওয়ে তৈরির তৎপরতা দেখা গেল পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদায় ৷ বেলদার বাখরাবাদে 60 নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে তারই প্রস্তুতি চোখে পড়ল ৷ বৃহস্পতিবার দুপুরে সমস্ত কাজ খতিয়ে দেখতে বেলদায় আসেন বায়ুসেনার আধিকারিকরা ।
ভারত-চিন সীমান্ত উত্তেজনার আবহে যুদ্ধবিমান ওঠা-নামার সুবিধার্থে তৈরি হতে চলেছে নতুন রানওয়ে । জরুরিকালীন অবস্থায় অতি সহজেই যুদ্ধবিমান নামানো যাবে । ভারতীয় বায়ুসেনা এবং জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের যৌথ উদ্যোগে বেলদা থানার শ্যামপুরা থেকে পোস্তাপুল পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কিলোমিটারব্যাপী 60 নম্বর জাতীয় সড়কের উপর তৈরি হচ্ছে আপৎকালীন যুদ্ধ বিমান ওঠা-নামার ব্যবস্থা । ইতিমধ্যে এজন্য 60 নম্বর জাতীয় সড়কের দু'দিকে থাকা বড় গাছগুলিকে কেটে রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ শুরু হয়েছে । চলছে মাপ নেওয়ার প্রক্রিয়া ।
ভারত-পাকিস্তান কিংবা ভারতীয়-চিন সীমান্ত এলাকাগুলিতে যখন উত্তেজনার পারদ ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেই সময় দেশের ভিতরে মোট তেরোটি জায়গায় এই আপৎকালীন যুদ্ধবিমান ওঠা-নামার ব্যবস্থা শুরু হয়েছে । এজন্য জাতীয় সড়কের প্রস্তাবিত এলাকার দু'দিকে প্রায় 30 মিটার জায়গা বৃদ্ধি করা হচ্ছে । জাতীয় সড়কের মাঝখানে যে অংশে ফুলের চারা লাগানোর জন্য নির্ধারিত ছিল সেগুলিও সম্পূর্ণ ভরাট করে এই আপৎকালীন রানওয়ে তৈরি হবে । জাতীয় সড়ক বরাবর পাঁচ কিলোমিটার লম্বা এলাকায় তৈরি হওয়া রানওয়ের মধ্যে থাকবে স্বয়ংক্রিয় কিছু অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার।
প্রস্তাবিত এলাকায় বহু আগে এই পরিকল্পনা থাকলেও বিভিন্ন কারণে তা আটকে ছিল । সূত্রের খবর, সীমান্ত এলাকায় উত্তেজনার পারদ ক্রমশ বৃদ্ধি পাওয়ায় এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এছাড়াও যে সকল স্থানে এয়ারবেস ইতিমধ্যে রয়েছে তার প্রায় কাছাকাছি অঞ্চলে এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে । বেলদা থেকে কিছুটা দূরেই খড়গপুরের সালুয়ায় রয়েছে এয়ারবেস ক্যাম্প ।
বায়ুসেনার সালুয়া এয়ারফোর্স এর উইঙ্গকমান্ডার এম কে সিংঘাল বলেন, “সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।”