পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

Health Workers Protest: করোনাকালে কাজ করিয়ে টাকা দিচ্ছে না স্বাস্থ্য দফতর ! অবস্থান বিক্ষোভে 32 স্বাস্থ্যকর্মী

করোনার সময় কাজ করা সত্ত্বেও বেতন না-দিয়ে ছাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ নিয়ে অবস্থান বিক্ষোভ অস্থায়ী কর্মীদের (Health Workers Protest in Ghatal) ৷ ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালের (Ghatal Sub Divisional Hospital) সামনে প্ল্যাকার্ড নিয়ে 10 মাসের বকেয়া বেতনের দাবি করলেন তাঁরা ৷

Health Workers Protest
অবস্থান বিক্ষোভে স্বাস্থ্যকর্মীরা

By

Published : Nov 16, 2022, 9:51 PM IST

ঘাটাল, 16 নভেম্বর: হারিয়েছে কাজ, মেলেনি বেতন । তাই কাজ ও বকেয়া বেতনের দাবিতে ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালের (Ghatal Sub Divisional Hospital) জরুরি বিভাগের সামনে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে অবস্থান-বিক্ষোভে বসল 32 জন অস্থায়ী কর্মী (Health Workers Protest in Ghatal) ।

বুধবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে নিজেদের দাবি-দাওয়া নিয়ে করোনার সময়কালে কাজ করা 32 জন অস্থায়ী কর্মী অবস্থান-বিক্ষোভে বসলন । তাঁদের দাবি, করোনার সময়কালে তাঁরা ঘাটাল হাসপাতালে করোনা বিভাগে কাজ করেছেন কিন্তু ঘাটাল হাসপাতালে দীর্ঘদিন কাজ করার পরেও তাঁদের যে ঠিকা কর্মী কাজে নিযুক্ত করেছিল তিনি তাঁদের 10 মাসের বকেয়া বেতন দেয়নি । এমনকী ওই কর্মীদের কাজ বন্ধ বলে জানিয়ে দিয়েছেন হাসপাতাল ও ঠিকাদার সংস্থা । এই অবস্থায় কাজ হারিয়ে বিপাকে পড়েছেন প্রায় 32 জন অস্থায়ী কর্মী । বকেয়া টাকা ও কাজের দাবিতে বিভিন্ন প্রশাসনের দফতরে ঘুরে লিখিত অভিযোগ জানিয়েও কোনও সুরাহা না পেয়ে এদিন সকাল থেকেই ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভে বসলেন তাঁরা । তাঁদের দাবি, দ্রুত তাঁদের প্রাপ্য টাকা ও কাজ দিতে হবে ।

মল্লিকা দাস, দেবব্রত দাসরা জানান, করোনার সময় আমাদের খাটিয়ে নিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর । অথচ এরপর চুক্তি মত আমাদের টাকা দেওয়া হয়নি । তাছাড়া আমরা বারবার জানিয়েছিলাম, আমাদের কাজে নিযুক্ত করতে ৷ সেই ক্ষেত্রে আশ্বাস দিয়েও আমাদের আশ্বাস রাখেনি প্রশাসন । তাই আমরা বাধ্য হয়ে এই অবস্থান বিক্ষোভ করতে বাধ্য হয়েছি । তাছাড়া আমাদের সরকারের কাছে একান্ত আবেদন আমাদের বকেয়া বেতন মিটিয়ে দেওয়া হোক ৷ সঙ্গে আমাদের পুনরায় কাজে বহাল করুক সরকার ।

অবস্থান বিক্ষোভে স্বাস্থ্যকর্মীরা

আরও পড়ুন:শিক্ষক দিবসেই অবস্থান-বিক্ষোভ যাদবপুরের অধ্যাপকদের

যদিও এই ঘটনার কথা স্বীকার করেছেন ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালের সুপার সুব্রত দে । তিনি জানান, এজেন্সি মারফত করোনার সময়কালে ওই কর্মীদের নেওয়া হয়েছিল ৷ তাঁদের কিছু বকেয়া টাকা দেয়নি এজেন্সি । কিন্তু আমরা জেলা স্বাস্থ্য দফতর (District health department) সূত্রে জানতে পেরেছি ওই এজেন্সিকে সমস্ত টাকা মিটিয়ে দিয়েছে সরকার কিন্তু তারপরেও কেন ওদের বেতন দেওয়া হয়নি জানা নেই ৷ তবে আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছি ।

ABOUT THE AUTHOR

...view details