মেদিনীপুর, 9 সেপ্টেম্বর: একদিনের সাম্মানিক বিচারক । লোক আদালতে বিনামূল্যে অভাব-অভিযোগ শুনলেন প্রমিত দত্ত, নিষ্পত্তি করলেন একাধিক মামলা । প্রমিত একজন ট্রান্সজেন্ডার, নিজের শর্তে বদলেছেন লিঙ্গ-পরিচয় ৷ মূলত সমাজের মধ্যে ট্রান্সজেন্ডার নিয়ে অস্পৃশ্যতা দূর করার উদ্দেশ্যেই তাঁকে সাম্মানিক বিচারকের আসনে বসানো হয়েছিল, দাবি লোক আদালতের ।
বছরের নির্ধারিত সময়ে প্রতিটি জেলার মতো মেদিনীপুরেও বসেছিল বছরের তৃতীয় জাতীয় লোক আদালত । এদিন জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষ ডিএলএসএ’র (District Legal Service Authority) উদ্যোগে বেশ কিছু মামলার নিষ্পত্তি করা হয় ৷ মূলত যে সমস্ত মামলা উভয়পক্ষই মিটিয়ে নিতে আগ্রহী, সেইসব মামলা নিষ্পত্তি হয়ে থাকে এই আদালতে । দেশের বহু মানুষই মামলা চালানোর খরচ জোগাড় করতে পারেন না । বছরের পর বছর ধরে চলা মামলাগুলি অতি অল্প সময়ে নিষ্পত্তি করা হয় এই জাতীয় লোক আদালতে । এদিন প্রথম ট্রান্সজেন্ডার হিসেবে বিচারকের আসনে ছিলেন প্রমিত দত্ত। তাঁর হাত ধরেই বেশ কিছু মামলার নিষ্পত্তি হয়।
ডিএলএসএ কেন্দ্রে বিচারকের ভূমিকা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পালন করেছেন প্রমিত দত্ত । লোক আদালতে তিনজন ব্যক্তি বিচারক হিসেবে কাজ করে থাকেন ৷ তাঁদের মধ্যে একজন সমাজকর্মী, একজন আইনজীবী ও একজন বিচারক ৷ মূলত সামাজিক কর্মী হিসেবে প্রমিত দত্ত ভূমিকা পালন করেন । আসলে সমাজে ভেদাভেদ দূর করতে এই প্রয়াস ৷