দাসপুর, 11 নভেম্বর : দাসপুরে নতুন করে আন্ত্রিকে আক্রান্ত 2 ৷ পানীয় জল পরীক্ষার রিপোর্টে জানানো হয়েছে, এই অঞ্চলের জল পানের উপযোগী নয় । স্বাভাবিক ভাবে উদ্বেগ বাড়ছে এলাকাবাসীর । যদিও সংশ্লিষ্ট এলাকায় জেলা স্বাস্থ্য দফতরের তরফে এই জল খাওয়া থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷
বুধবার দাসপুর 1 নং ব্লক স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে বিশেষ মেডিক্যাল টিম এলাকা ঘুরে দেখে এবং নতুন করে যাঁরা অসুস্থ হয়েছেন, তাঁদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করে । অন্যদিকে বুধবার সন্ধে নাগাদ এলাকার পানীয় জলের নমুনার পরীক্ষার রিপোর্ট এসে পৌঁছায় । জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ শ্যামপদ পাত্র জানান, জলের নমুনার পরীক্ষার রিপোর্টে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়ার খোঁজ মিলেছে ৷ তিনি স্থানীয়দের এই জল খেতে নিষেধ করেছেন ৷
শ্যামপদবাবু জানান, তিনি ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট দফতর ও রাজনগর গ্রাম পঞ্চায়েতকে নির্দেশ দিয়েছেন আগামী দু'দিনের মধ্যে এলাকার সজলধারার পাইপলাইন সারিয়ে ও জলের পরীক্ষা করিয়ে পরিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা করতে । পাশাপাশি পাইপলাইন সারানোর সময় অঞ্চলে ভ্রাম্যমান পানীয়জলের গাড়ির ব্যবস্থা করা হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন । তিনি এলাকাবাসীকে অনুরোধ করেছেন, সবাই যেন জল ফুটিয়ে ঠান্ডা করে খান ।
আরও পড়ুন : Diarrhea : ছড়াচ্ছে সংক্রমণ, দাসপুরে আন্ত্রিকে আক্রান্ত 50-এর বেশি
উল্লেখ্য দাসপুর 1 ব্লকের রাজনগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার আলুপাড়ায় প্রায় 7-8 দিন ধরে এলাকার মানুষ আন্ত্রিকের সমস্যায় ভুগছেন । বেসরকারি হিসেবে আন্ত্রিকে আক্রান্তের সংখ্যা 50 ছাড়িয়েছে । অনেকে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়েছেন । অন্যদিকে এই ঘটনাকে ঘিরে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ওই এলাকার বাসিন্দারা । তাঁদের অভিযোগ, এমন বিপদে পাশে নেই রাজনগর গ্রাম পঞ্চায়েত ৷ একবারও আক্রান্তদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানো দূরে থাক, পঞ্চায়েতে বারে বারে ফোন করেও ফল মেলেনি ।
তবে টানা 3 দিন ধরে দাসপুর 1 নং ব্লক স্বাস্থ্য দফতর ওই পাড়ায় মেডিক্যাল ক্যাম্প করে আক্রান্তের চিকিৎসা করে চলেছে । গঠন করা হয়েছে বিশেষ মেডিক্যাল বোর্ড ও টিম । মেডিক্যাল টিমের অন্যতম সদস্য ডাক্তার প্রসেনজিৎ রায় জানান, আক্রান্তদের চিকিৎসার পাশাপাশি নজর দিতে হবে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা যাতে না বাড়ে । তাঁর জন্য বিশেষ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন তিনি । প্রথমত, সবাইকে হাত ধুয়ে খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ৷ দ্বিতীয়ত, সব শাকসবজি, মাছ ভাল করে ধুয়ে রান্না করতে হবে ৷ তৃতীয়ত, যে জলই খাওয়া হোক না কেন, তা ভাল করে ফুটিয়ে, তারপর ঠান্ডা করে খেতে হবে ৷
এই আন্ত্রিক নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে সংশ্লিষ্ট এলাকায় । একমাত্র এই সজলধারা থেকে পানীয় জল সংগ্রহ করে গ্রামবাসীরা । তাই তাঁরা চরম সমস্যায় পড়েছেন ।