পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

হাসপাতাল থেকে নিখোঁজ রোগী, 6 দিনেও মিলল না খোঁজ

হাসপাতাল থেকে ছ'দিন ধরে নিখোঁজ রোগী । কড়া নিরাপত্তা ও CCTV থাকা সত্ত্বেও কী করে একজন নিঁখোজ হয়ে গেল তাই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন । নিখোঁজ ব্যক্তির নাম কমল ভুঁইঞা । মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ঘটনা । রোগীর আত্মীয়রা পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি হাসপাতালের বিরুদ্ধে চরম গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন ।

নিখোঁজ রোগীর পরিজনরা

By

Published : Sep 10, 2019, 11:13 AM IST

Updated : Sep 10, 2019, 1:21 PM IST

মেদিনীপুর, 10 সেপ্টেম্বর : হাসপাতাল থেকে ছ'দিন ধরে নিখোঁজ রোগী । কড়া নিরাপত্তা ও CCTV থাকা সত্ত্বেও কী করে একজন নিঁখোজ হয়ে গেল তাই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন । নিখোঁজ ব্যক্তির নাম কমল ভুঁইঞা । মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ঘটনা । রোগীর আত্মীয়রা পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি হাসপাতালের বিরুদ্ধে চরম গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন ।

নিখোঁজ রোগীর আত্মীয়র বক্তব্য

4 সেপ্টেম্বর বুধবার মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে গ্যাসের সমস্যা নিয়ে ভরতি হন দাসপুর থানার রায়কুণ্ডু গ্রামের বাসিন্দা কমল ভুঁইঞা । এরপর 5 তারিখ রাত 9টা নাগাদ কমলকে দেখতে যান তাঁর বাড়ির লোকজন । সেই সময় তাঁরা দেখতে পান কমল বিছানায় নেই । এমন কী হাসপাতালের অন্যান্য ঘরেও নেই । গোটা রাত খোঁজাখুঁজি চলে ৷ রোগীর আত্মীয়স্বজনরা কমলকে না পেয়ে হাসপাতালের বাইরে বেরিয়ে আশপাশে খোঁজ করেন । এরপর তাঁরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি জানান ৷ পাশাপাশি থানায় অভিযোগ করতে যান । সেই সময় থানা থেকে তাঁদের বলা হয় 24 ঘণ্টা না গেলে অভিযোগ নেওয়া যাবে না । পরের দিন পুনরায় তাঁরা হাসপাতালে দেখা করেন এবং থানায় অভিযোগ করেন । অভিযোগ দায়ের করার পরও কমলকে পাওয়া না গেলে রোগীর আত্মীয়পরিজনরা পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন । পরের দিন বাড়ির লোকজন পুনরায় হাসপাতাল সুপারের সঙ্গে দেখা করে অভিযোগ জানান । তার পাশাপাশি CCTV চেক করার আবেদন জানান ৷ কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁদের পুলিশের দ্বারস্থ হতে বলে ।

কমলের বাড়ির লোকের অভিযোগ, "4 তারিখ ভরতি করার পর আমরা 5 তারিখ রাতে যখন খাবার দিতে যাই রোগীর কাছে তখন থেকেই রোগীকে পাওয়া যাচ্ছে না । এত নিরাপত্তা এবং CCTV থাকা সত্ত্বেও কী ভাবে একজন ছ'দিন ধরে নিখোঁজ হয়ে গেল সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না । ব্যবস্থা নিচ্ছে না পুলিশ প্রশাসনও ।"

ঘটনায় মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের সুপার তন্ময়কান্তি পাঁজার কাছে বিষয়টি জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, বিষয়টি পুলিশ দেখছে । তাঁদের কিছু করণীয় নেই । তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তাঁদের এখানে এত স্টাফ নেই প্রতিটা রোগীকে আলাদা আলাদাভাবে দেখভাল করার জন্য । তাই তাঁরা রোগীর বাড়ির একজনকে রোগীর কাছে রেখে দেন । তিনি কমলের পরিবারকে পুলিশের দ্বারস্থ হতে বলেছেন ।

Last Updated : Sep 10, 2019, 1:21 PM IST

ABOUT THE AUTHOR

...view details