ভীমপুর, 28 নভেম্বর : করোনা কালে স্কুল বন্ধ ছিল প্রায় দু’বছর ৷ তাতে ক্লাসরুম উঠে এসেছিল মোবাইলের স্ক্রিনে ৷ কিন্তু এখনও অনলাইন ক্লাসে অভ্যস্ত হয়ে ওঠেনি পড়ুয়ারা ৷ তাই স্কুল খোলার জন্য কাতর আবেদন জানাতে হচ্ছিল ৷ তাতে যা-ও বা স্কুল খুলেছে, কিন্তু দেখা নেই পশ্চিম মেদিনীপুরের ভীমপুরে (Bhimpur in Paschim Medinipur) ৷ তার জন্য এ বার শুরু হল পড়ুয়া ফেরাও অভিযান (Duare Teachers in Paschim Medinipur), যাতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে পড়ুয়াদের স্কুলে ফিরতে (School Dropouts) উৎসাহিত করা যায় ৷
স্কুল বন্ধ হওয়ার পর (Novel Coronavirus Lockdown) এলাকার আদিবাসী অধ্যুষিত লোধা শবর পরিবারের ছেলেমেয়েরাও কাজে লেগে পড়েছিল ৷ এখন স্কুল খুললেও, কাজ ছেড়ে পড়াশোনার জগতে ফিরতে অনীহা তাদের ৷ এমন পরিস্থিতিতে এগিয়ে আসতে হল ভীমপুর সাঁওতাল হাই স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরই ৷ মাইকে প্রচার চালানোর পাশাপাশি, বাড়ি বাড়ি গিয়ে অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলছেন তাঁরা ৷ ছেলেমেয়েকে স্কুলে ফেরানোর প্রয়োজনীতা বোঝাচ্ছেন ৷
তবে তাতেও নানা সমস্যা উঠে আসছে ৷ যেমন, অনেক শবর পরিবারই ছেলেমেয়েকে কাজে লাগিয়ে দিয়েছে ৷ ছেলেরা মূলত ধান মাড়াইয়ের কাজে নেমেছে ৷ কমবয়সি অনেক মেয়ের বিয়ে পর্যন্ত হয়ে গিয়েছে এই দু’বছরে ৷ তাতে স্কুলছুটের সংখ্যা একধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে ৷ তা আটকাতেই এবার রাস্তায় নামতে হল শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ৷
আরও পড়ুন:Model School in Gaighata : সীমান্তে মডেল স্কুল, একটাও স্কুলছুট নেই, বললেন প্রধান শিক্ষক
ভীমপুর সাঁওতাল হাইস্কুলের দায়িত্ব প্রাপ্ত শিক্ষিকা সোনালী সিট বলেন, ‘‘অভিভাবকদের আবেদন-নিবেদনে সাড়া দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশিকা জারি করেছেন নবম থেকে দ্বাদশ পর্যন্ত স্কুল খোলার । আমরা স্কুল খুলে দিয়েছি কিন্তু ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা অত্যন্ত কম । এক দিকে চাষের কাজ, অন্য দিকে দীর্ঘ বিরতিতে অনেকে ঘরমুখো হয়ে গিয়েছে । ফলে স্কুলে আসছে না । সেই কারণে হার অত্যন্ত কম ।’’