ঘাটাল, 25 মে : কথা ছিল ঘূর্ণিঝড় যশের বিপর্যয়ের সময় ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় দেওয়া হবে দুঃস্থদের ৷ ত্রাণ শিবিরে খাবার-দাবারের ব্যবস্থাও থাকার কথা । অথচ এমনই একটি ত্রাণশিবিরে গতকাল থেকে খাবার পেলেন না আশ্রিতরা ৷ যশ ধেয়ে আসার আগেই মানুষ ত্রাণশিবির থেকে পালাতে শুরু করলেন ৷ তাতেই ক্ষোভ ছড়িয়েছে এলাকায় । ঘটনাটি ঘটেছে ঘাটালে ৷ পরে খবর পেয়ে পুলিশের তরফে ফের বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষকে ত্রাণ শিবিরে ফেরানোর চেষ্টা করা হয় ৷ কিন্তু সেখানে আর ফেরত যেতে চাননি মানুষজন ৷ পুলিশের তরফে জানানো হয়, ত্রাণ শিবিরে খাবার দেওয়ার দায়িত্ব ছিল ঘাটাল পৌরসভার ৷ এনিয়ে পৌরসভার চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলা হবে বলে জানান ঘাটালের এসডিপিও ৷
ঘূর্ণিঝড়ের আগে সোমবার রাতে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল কলেজে সরকারি ত্রাণ শিবিরে নিয়ে যাওয়া হয় শিলাবতী নদীর নিচে ছিটে বেড়ার বাড়িতে বসবাস করা 7-8টি পরিবারকে ৷ খাবার না পেয়ে তাঁরা মঙ্গলবার সকালে সেখান থেকে পালিয়ে আসেন ৷ তাঁদের অভিযোগ, সোমবার রাতে ঘাটাল থানার পুলিশের তরফে আগাম সতর্কতা হিসাবে তাঁদের ঘাটাল রবীন্দ্রশতবার্ষিকী মহাবিদ্যালয় কলেজের ত্রাণ শিবিরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় । কিন্তু রাত থেকেই তাঁদের জন্য খাবারের কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি ৷
খবর পেয়ে মঙ্গলবার বেলার দিকে পরিবারগুলিকে ত্রাণ শিবিরে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তৎপর হয় পুলিশ ৷ শিলাবতী নদীর বিদ্যাসাগর সেতুর নিচে পৌঁছন ঘাটাল মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অগ্নীশ্বর চৌধুরী, ঘাটাল থানার ওসি ৷ পুলিশের তরফে জানানো হয়, খাবার পরিবেশন করার দায়িত্ব নাকি ঘাটাল পৌরসভার ছিল ৷ বিষয়টি পৌরসভাকে জানানো হবে ৷ তবে পুলিশ এলেও ত্রাণ শিবিরে ফিরে যেতে নারাজ ক্ষুব্ধ পরিবারগুলি ৷ এসডিপিওকে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি পৌরসভার চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান ৷ তবে ঘটনায় প্রশাসনিক সমন্বয়ের অভাবের ছবিটা বেরিয়ে এল ৷